স্টাফ রিপোর্টার:
বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু বলেছেন, শেখ হাসিনাকে বারবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু আল্লাহর অসীম দয়ায় কেউ তাকে হত্যা করতে পারেনি।
৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যে দিয়ে আওয়ামীলীগ মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু ১৯৮১ সালের জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্যে দিয়ে বাঙালি জাতি তাদের আশা ভরসার স্থল খুঁজে পেয়েছিল।
৮১ সালের আওয়ামীলীগের সম্মেলনে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীরা তাদের অশ্রুশিক্ত নয়নে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বরণ করেছিলেন। সেদিন থেকে আওয়ামীলীগ আবারও সংগঠিত হয়ে আজকের বাংলাদেশ বিনির্মাণ করেছে। তাই দেশকে এখন স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে নিচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি সব সময় ষড়যন্ত্র ও মিথ্যাচার করে চলছে। দেশের ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করে,মিথ্যাচার করে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি।
আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তিনি গত বৃস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটায় জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে আওয়ামী লীগ আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তমজন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন।
প্রধান বক্তা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু এমপি বলেছেন, চট্টগ্রামে লালদিঘীর ময়দানে প্রকাশ্যে ৩০ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করা হয়েছে।
সেদিন ট্রাকে গ্রেনেড লেগে নিচে পড়ে গিয়েছিল এবং নেতাকর্মীরা মানব প্রাচীর দিয়ে শেখ হাসিনার জীবন রক্ষা করেছিলেন। কোটালী পাড়ায় ৪৫ কেজি বোমা পুঁতে রাখা হয়েছিল।
আরও কত ভাবে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে। কিন্তু তিনি তাতে ভয় পাননি। তিনি এগিয়ে গেছেন তার বাবার মত। ৭০ এর নির্বাচনের সময় ইয়াহিয়া খানদের সাথে আমেরিকার চুক্তি হয়েছিল সেন্ট মার্টিন দ্বীপ নিয়ে। কিন্তু ৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ের মধ্যে দিয়ে পাল্টে যায় দৃশ্যপট।
সেসময় আমেরিকা বঙ্গবন্ধুকে প্রস্তাব দিয়েছিল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার, তার বিনিময়ে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ তাদের ব্যবহার করতে দিতে হবে।
কিন্তু বঙ্গবন্ধু তাদের প্রস্তাবে রাজি হননি। শেখ হাসিনা পিতা বঙ্গবন্ধুর মতই সাহসী। দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে কখনো ক্ষমতার স্বপ্ন দেখেননা। আমেরিকার মাটিতে প্রবাসীদের দেওয়া এক সংবর্ধনা সভায় শেখ হাসিনা সাহসিকতা এবং আত্মবিশ্বাসের সাথে বললেন “জাতিসংঘের ১৯ তম অধিবেশনে বক্তব্য রেখেছি এবং আগামী ২০ তম অধিবেশনে দেখা হবে, ইনশাল্লাহ”।
এটাই হচ্ছে সাহসিকতা। শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের নেত্রী, তিনি কাউকে ভয় পাননা। এদেশের মানুষের উন্নয়নে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। তার উন্নয়নের ছোঁয়া এখন সারাদেশে।
আলোচনা সবায় আরো বক্তব্য রাখেন এডভোকেট আমানুল্লাহ, প্রদীপ কুমার রায়, এ কে এম আসাদুর রহমান দুলু,সাগর কুমার রায়, এডভোকেট জাকির হোসেন নবাব, অধ্যক্ষ শাহাদাত আলম ঝুনু, আব্দুল্লাহ আল রাজী জুয়েল, নাসরিন রহমান সীমা,আনোয়ার পারভেজ রুবন, রুহুল মোমিন তারিক,খালেকুজ্জামান রাজা,আবু সেলিম, এড. নরেশ মুখার্জি, অধ্যক্ষ শামসুল আলম জয়, এডভোকেট শফিকুল ইসলাম নাফরু, ইমরান হোসেন রিবন, আবু সুফিয়ান শফিক, আবু ওবায়দুল হাসান ববি,তহিদুল করিম কল্লোল, সাইফুল ইসলাম বুলবুল, আব্দুল্লাহ আল ফারুক, আলমগীর হোসেন স্বপন, কামরুল হুদা উজ্জ্বল, গৌতম কুমার দাস,আব্দুস সালাম,কামরুল মোর্শেদ আপেল, সাজেদুর রহমান শাহিন, আমিনুল ইসলাম ডাবলু, মনজুরুল হক মঞ্জু, জুলফিকার রহমান শান্ত, রাশেদুজ্জামান রাজন, সজীব সাহা, আল মাহিদুল ইসলাম জয় প্রমুখ।
আলোচনা সভা পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগ প্রচার সম্পাদক সুলতান মাহমুদ খান রনি।