শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি:
বগুড়ার শেরপুরের ছোনকা এলাকায় তিন বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করে স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে স্বামী আব্দুল মোমিন নিজের বাড়ীতে স্ত্রীকে একদিনের জন্যও ঘরে না উঠিয়ে মেয়ের বাড়ীতে অবাধে যাতায়াত করলেও আরেক মেয়ের সাথে নতুন করে প্রেমের সম্পর্কের ঘঠনা জেনে গিয়ে মোমিনের বাড়ীতে স্ত্রীর দাবি নিয়ে স্কুল ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার মুল দরজায় বিষের বোতল নিয়ে অনশন শুরু করে। এঘটনা টের পেয়ে শ্বশুর বাড়ীর লোকজন দরজা বন্দ করে অনশনরত সুমাইয়া কে মারধর করে।
এ ঘটনাটি ঘটেছে ২৯ ডিসেম্বর সকাল ১১ টা সন্ধা পর্যন্ত শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের চন্ডিপুর ( কাজিপুর পাড়া) গ্রামের।
জানা যায়, একই গ্রামের একই মহল্লার মোঃ বদিউজ্জামানের পুত্র ছোনকা রহিমা নওশের আলী ডিগ্রী কলেজের ছাত্র আব্দুল মোমিনের সাথে পাশের বাড়ীর আল মাহমুদের স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী সুমাইয়া আক্তারের প্রেমের গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে বিগত তিন বছর আগে ছোনকা বাজারের জনৈক এক ব্যক্তির অফিস রুমে ছেলে মেয়ের এবং এলাকার কতিপয় মাতব্বরদের নিয়ে একটি বৈঠক হয়।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদের ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী বিয়ে পড়ানো হয়। বিয়ের উপযুক্ত বয়স না হওয়ায় দুই পক্ষের পারিবারিক সম্মতি অনুযায়ী ননজুডিশিয়াল ষ্ট্যাম্পে পাচ লক্ষ টাকার দেন মোহরানা সম্বলিত একটা রেজিষ্ট্রি সম্পাদনা করেন।
এদিকে আব্দুল মোমিন তিন বছর আগে বিয়ে করে একবারের জন্যও তার স্ত্রীকে তার বাড়ীতে নিয়ে যায়নি।
উপরন্ত সে শ্বশুর বাড়ীতে অবাধে যাতায়াত করতে থাকে। মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তার বাবা মা জামাইকে আদর যত্ন করেই আসছিল।
অন্যদিকে স্ত্রী সুমাইয়া শ্বশুর বাড়ীতে যাওয়ার জন্য স্বামী মোমিন কে বিয়ের পর থেকেই চাপ দিয়ে যাচ্ছিল। সুচতুর মোমিন নিয়ে যাব নিয়ে যাব বলে স্ত্রীকে ভুলিয়ে ভালিয়ে তালবাহানার কৌশলে ছলচাতুরি করতে করতে মাঝপথে আরেকটি মেয়ের সাথে প্রেমের নতুন সম্পর্ক গড়ে তুলেছে এবং মোমিন তাকে বিয়ে করবে এরকম খবর শুনে সুমাইয়া আক্তার স্ত্রীর দাবি নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে তার শ্বশুর মোঃ বদিউজ্জামানের বাড়ীর দরজায় বিষের বোতল হাতে অনশন শুরু করে।
এ ঘঠনাটি টের পেয়ে আব্দুল মোমিন সুমাইয়া কে মারধর করেছে বলে অনশনরত সুমাইয়া সংবাদ কর্মীদের কাছে অভিযোগ করেন। অনশনরত সুমাইয়া আরো বলেন তিন বছর পুর্বে আমাদের বিয়ে হয়েছে সে আমাকে বাড়ীতে নিয়ে যাওয়ার জন্য শুধুই তামাশা আর কালক্ষেপন করছে।
আবার আরেক জন মেয়ের জীবন নষ্ট করেতে বসেছে । আমি স্বামীর বাড়ীতে উঠবো ঘরে না তোলা পর্যন্ত আমি এক পা নড়বোনা। সুমাইয়া শ্বশুর বাড়ীর প্রধান দরজায় অনশনে বসলেও দরজায় তালা লাগিয়ে দিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা ।
শেষ মেষ থানা পুলিশ পর্যন্ত অনশনের খবরটি গড়ালে শেরপুর থানার এ এস আই আব্দুল আজিজ
ঘঠনাস্হলে গিয়ে পালিয়ে থাকা বদিউজ্জামান ও তার পুত্রকে খুজে বের করেন।
পরে তিনি ছেলে মেয়ের বিয়ের বিষয়টি নিয়ে পিতাপুত্রের সাথে কথা বলেন এক পর্যায়ে তারা অনশনরত পুত্র বধু ঘরে তুলে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সুমাইয়া আক্তার কে রাত ৮ দিকে ঘরে তুলে নেন।