মোহাম্মদ রেজওয়ান আলী দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি-
দিনাজপুর বিরামপুরে আবাদি জমির ফসল ক্ষতির সম্মুখীন: উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর কৃষকের লিখিত অভিযোগ হয়েছে বলে জানা যায়। বিরামপুর উপজেলাধীন ৩নং খানপুর ইউনিয়নের দক্ষিন শাহবাজপুর হিন্দু পাড়া মহল্লা অন্তর্ভুক্ত আবাদি জমিতে এমন ঘটনা ঘটেছে।
১লা মার্চ সরজমিনে জানা গেছে,দক্ষিণ শাহবাজপুর হিন্দু পাড়া মহল্লার কৈলাশ চন্দ্র সরকারের ছেলে কৃষক গোফেস চন্দ্র সরকারের আবাদি ভুট্টা ও ইরি ধানের ফসলি জমিতে বেশ কিছুদিন যাবত পানির শেঢ না দেওয়ায় ফসলের ক্ষতির সম্মুখীন মর্মে গত ২৩শে ফেব্রুয়ারি বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী বরাবর একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন কৃষক গোপেশ চন্দ্র সরকারের ছেলে শ্রী আশীষ চন্দ্র সরকার ।
উক্ত এলাকায় একটি ডিপ টিউবয়েল রয়েছে,যাহা দ্বারা এলাকার আবাদি জমি শেচ প্রকল্পে কৃষকগণ বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদ করে থাকেন। উত্তর ডিপ্ত বয়েল টি তত্ত্বাবধানে রয়েছেন একই মহল্লার মৃত্যু ভবানী চন্দ্র সরকারের ছেলে অধীর চন্দ্র সরকার। গোঁফেস চন্দ্র সরকার জমি রোপন করার পর হতে উক্ত বিবাদী অধীর চন্দ্র সরকার আবদী জমিতে সেচ পানি না দেওয়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে ঘটনার সরজমিনে জানা যায় যে উক্ত কৃষকের ভুট্টার জমি ও ইরি ধানের ৬৬শতক জমি রোপনের পর হইতে আওতাভুক্ত অগভীর নলকূপের পানি দেওয়া হয় নাই। ফলে ভুট্টার জমির ফসলের গাছগুলো প্রায় মরে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি ইরি ধানের রোপনকৃত ধানের চারা গাছগুলো রোপনের পর হইতে এ যাবত ১৫ থেকে ২০ দিন বয়স হওয়ার পরেও পানি না দেওয়ায় ফসলি জমি শুকতে শুরু করেছে। ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে কৃষক গোফেস চন্দ্র সরকার অভিযোগে বলেন,আমি বরাবরের মতো এবারও উক্ত বিবাদীর আওতাভুক্ত অগভীর নলকূপের এরিয়ায় আমার জমির উপরে ভুট্টার চাষ ও ইরি ধানের চারা রোপন করেছি। কিন্তু রোপন করার পর হইতে এ যাবৎ ১৫ থেকে ২০ দিন অতিবাহিত হয়ে যায়। এরপরেও আমার আবাদি জমিগুলোতে অগভীর নলকূপের পানি দেওয়া হয় নাই।
এ বিষয়ে আমি অনেকবার অধীর চন্দ্র সরকারের নিকট গিয়েছিলাম। কিন্তু সে আমার কথায় কোনরূপ কর্ণপাত করেন নাই। পানি সেচ বাবদ প্রকৃতপক্ষে সে আমার নিকট কোন টাকা পায় না।
যাহা আমি আবার আরম্ভের শুরুতেই পরিশোধ করে দিয়েছি। এ বিষয়ে আমি বিরামপুর উপজেলা বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ(বিএমডিএ) সহকারি প্রকৌশলী বরাবর অভিযোগ করেছি। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোন প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেন নাই। ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার কারণে তার ছেলে আশীষ চন্দ্র সরকার বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ করেছে।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী আশীষচন্দ্র সরকারের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান,উক্ত আবাদী সম্পত্তি আমার বাবা বরাবরের ন্যায় এবারও আবাদ করেছেন।
আমার জানামতে আমার বাবার নিক টকট অধিক চন্দ্র সরকার সেচ বাবদ কোন টাকা লেনদেন নাই। তবে অধীর চন্দ্র সরকারের ছেলে বাবু এর সাথে আমার পূর্বের অনেক হিসাব নিকাশ ছিল। তাহা প্রকৃতপক্ষে হিসাব নিকাশ করলে আমি তার নিকট হতে অনেক টাকা পাওনা রয়েছি। অথচ বাবু বিভিন্ন জায়গায় বলে বেড়াচ্ছে আমার নিকট থেকে টাকা পাওনা রয়েছে সেই বলে পিতার জমিতে পানি দিচ্ছে না। প্রকৃতপক্ষে হিসাব নিকাশ তার ছেলের সহিত আমার রয়েছে আমার পিতার সহিত নয়।
এ বিষয়ে তিনি আরো জানান অধিক চন্দ্র সরকারের নিক ট পানি দেওয়ার কথা বললে অধীর চন্দ্র সরকার আওয়ামী লীগের নেতার রূপের হুমকি প্রদান করে থাকেন। এমন অবস্থায় অধিক চন্দ্র সরকার জমির আবাদে একদিন সেচ পানি প্রদান করার পর আর সে পানি দেওয়া থেকে বিরত রয়েছে। বারবার বলার পর ও আর কোন পানি দিচ্ছে না বলেও অসিস চন্দ্র সরকার অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে ঘটনা সরজমিনে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার জোর আবেদন জানান অভিযোগকারী শ্রী আশীষ চন্দ্র সরকার।