এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ
বগুড়ার আদমদীঘির কুন্দগ্রাম ইউপির ২নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদে পরাজিত হয়ে এক প্রার্ধী তার পক্ষে ভোটে প্রচারণা না করার অভিযোগে নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় হরিনমারা গ্রামে তিন বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও খড়ের গাদায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন হলেও চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার হরিমারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, আদমদীঘি উপজেলার কুন্দগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য আব্দুর রাজ্জাক ইন্তেকাল করার পর পদটি শূন্য হলে গত বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ওই ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে উপ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। নির্বাচনে মোসলেম মন্ডল ফুটবল মার্কা নির্বাচিত হন। এদিকে বিকেলে পরাজিত প্রার্থী আইয়ুব উদ্দিনের (টিউবওয়েল) মার্কার পক্ষে ভোটে প্রচারনা না করায় তিনি পরাজিত হয়েছেন।
এমন গুজব তুলে আইয়ুব উদ্দিনের কতিপয় সমর্থক ক্ষিপ্ত হয়ে প্রায় ৩০জন লাঠি সোডায় সজ্জিত হয়ে সন্ধ্যায় হরিনমারা গ্রামের আব্দুর রশিদ, মোস্তান আলী ও আব্দুল আলিমের বসতবাড়িতে হামলা করে ইট নিক্ষেপ, দরজা জানালা ও শ্যালো মেশিন ভাংচুর করে। এসময় হামলাকারিরা আব্দুর রশিদের বাড়ির উঠানে রাখা খড়ের পালা বা গাদায় অগ্নিসংযোগ করে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। এসময় ৯৯৯ নম্বর ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছিলে হামলাকারিরা ছত্রভঙ্গ হলে পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রন হয়। ক্ষতিগ্রস্থ আব্দুর রশিদ ও মোস্তান আলী জানায়, উপ নির্বাচনে প্রার্থী আইয়ুব আলী তার পক্ষে ভোটের মাঠে গ্রামে গ্রামে প্রচারনার জন্য প্রস্তাব দেন। কিন্ত তার পক্ষে প্রচারনা করিনা। আইয়ুব আলী ভোটে পরাজিত হবার পর তার পক্শে আমরা প্রচার না করায় তিনি পরাজিত হয়েছেন দাবী করে তার কতিপয় সমর্থক এ হামলা করে। হামলাকারিরা যেখানে পাবে সেখানে
আমাদের মারধর করবে বলে হুমকি দিচ্ছে।
অপর ক্ষতিগ্রস্থ আব্দুল আলিম জানায়, সে অপর পরাজিত প্রার্থী আহম্মাদ আলীর পক্ষে ভোট করায় তার উপড় ক্ষিপ্ত হয়ে আইয়ুব আলীর সমর্থকরা হামলা চালায়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি মিমাংসা করবেন বলে মামলা করা হয়নি। পরাজিত প্রার্থী আইয়ুব আলী জানায়, পরাজিত হয়েছি খবর পেয়ে বাড়িতে গিয়ে ঘুমিয়ে ছিলাম। কেবা কারা হামলা করেছে তা আমি জানিনা। আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউলি করিম বলেন, পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন হয়। মামলা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।