দৈনিক প্রাণের শহর বিডি স্পোর্টস ডেস্ক:
বিশ্বকাপের শুরু থেকেই আর্জেন্টিনাকে হট ফেবারিট ধরেছিল সবাই। কিন্তু প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের সঙ্গে হেরে সেই তকমায় ভাটা পড়ে আর্জেন্টিনার। কিন্তু সময়ের সাথে ঠিকই জ্বলে উঠেছে দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। মেক্সিকো ও পোল্যান্ড দুই দলকেই ২-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাপিয়ন হয়েই দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠলো মেসিরা। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া।
পোল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি যে সহজ হবে না সেটা আগেই অনুমেয় ছিল। ম্যাচের যত যময় গেছে ততই তা হারে হারে টের পেয়েছে মেসিরা।
চার পরিবর্তন নিয়ে পোল্যান্ডের বিপক্ষে এদিন খেলতে নামে আর্জেন্টিনা। শুরু থেকেই আক্রমণাতকভাবে খেলতে থাকে আলবিসেলেস্তারা৷ ম্যাচের ১১ মিনিটে ডান পাশ দিয়ে মেসির জোড়ালো শট রুখে দেন পোলিশ গোলরক্ষক সিজনি।
১৯ মিনিটে আবারো আর্জেন্টিনার আক্রমণ। এবার আকুনার শট চলে যায় গোলবারের উপর দিয়ে৷ মাঝমাঠের দখল নিয়ে আর্জেন্টিনা একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে।
৩৪ নিনিটে ডি মারিয়ার কর্নার সোজা গোলমুখে ঢুকতে গেলে আবারো কর্নারের মাধ্যমে গোলবার রক্ষা করেন সিজনি। ৩৭ নিনিটে আবারো পোল্যান্ডের ত্রাতার ভূমিকায় সিজনি। এবার হুলিয়ান আলভারেজের শট রুখে দেন তিনি। তবে এতেই ঘটে বিপত্তি। এর পরের মিনিটেই সিজনি ডি বক্সের ভেতর ফাউল করে বসেন মেসিকে। রেফারি ভিএআর এর মাধ্যমে পেনাল্টির সিদ্ধান্য দেন।
কিন্তু স্পট কিক থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন মেসি। তার বুলেট গতির শট রুখে দেন পোলিশ এই গোলরক্ষক। ২০০২ সালের পর এক বিশ্বকাপে দুই পেনাল্টি সেভ করা একমাত্র গোলরক্ষক হলেন তিনি৷ বিরতির আগে আর কোন গোল না হলে গোলশূন্য ড্র তে থেকেই বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আর্জেন্টিনা পেয়ে যায় কাঙ্ক্ষিত গোল। ৪৬ মিনিটে মলিনার ডান পাশ থেকে বাড়ানো ক্রসে এলেক্সিস ম্যাক এলিস্টারের গোলে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় আলবিসেলেস্তারা।
৫২ নিনিটে গোলের সুযোগ পেয়েছিল পোল্যান্ড। কিন্তু ফ্রি কিক হেতে গিলিকের হেড চলে যায় গোলবারের সামান্য বাইরে দিয়ে। ৬৮ মিনিটে আবারো এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। এবার এনজো ফার্নান্দেজের ক্রস থেকে বল পেয়ে আর্জেন্টিনাকে ২-০ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে দেন ম্যান সিটি তারকা হুলিয়ান আলভারেজ। একাদশে সুযোগ পেয়েই দলের জয়ে অবদান রাখলেন তিনি৷
৭৪ মিনিটে আবারো সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। আবারো হুলিয়ান আলভারেজ শট করলেও তা চলে যায় গোলবারের উপর দিয়ে৷ ৮৭ মিনিটে গোলের অন্যতম সহজ সুযোগটি মিস করেন বদলি হিসেবে নামা লাউতারো মার্টিনেজ৷ সিজনিকে একা পেয়েও গোল দিতে ব্যর্থ হন তিনি৷ বল মারেন গোলবারের অনেক বাইরে দিয়ে৷
শেষ দিকে আর্জেন্টিনা আরো গোলের সুযোগ তৈরি করলেও তা দেখা পায়নি জালের। ফলে ২-০ ব্যবধানের জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠে আর্জেন্টিনা। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া৷