এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ
বগুড়া সদর শেখেরকোলা ইউনিয়নের দক্ষিণভাগ গ্রামের ২০০৩ সালে শাহজাহান আলী হত্যা মামলায় তৎকালীন নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান রশিদুল ইসলাম মৃধা রশিদকে জরিয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলায় গত অক্টোবর মাসের ১০ তারিখে স্ব-শ্রম কারাদণ্ড দেন বগুড়া জেলা দায়রা জজ কোর্ট।
৩ মাস কারাভোগের পর উচ্চ আদালতের রায়ে (১০ জানুয়ারী) মঙ্গলবার স্থায়ীভাবে জামিনে মুক্ত হোন শেখেরকোলা ইউনিয়ন পরিষদের ৪ বারের নির্বাচিত জনপ্রিয় চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ রশিদুল ইসলাম মৃধা রশিদ।
চেয়ারম্যানের মুক্তিতে এক অনাবিল আনন্দের বণ্যা বয়ে যায় ইউনিয়নবাসির মাঝে। সদ্য কারামুক্ত চেয়ারম্যানকে বরণ করে নিতে বুধবার সকাল ১১ টায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন পরিষদবর্গ। পরিষদের সভাকক্ষে ইউপি সচিব আজিজুল হক এর পরিচালনায় ফুলেল শুভেচ্ছা ও মালা পরিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় চেয়ারম্যান রশিদ মৃধাকে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শেখেরকোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তার বক্তব্য বলেন, আপনারা জানেন, ২০০৩ ইং সালে দক্ষিণভাগ গ্রামের শাহজাহান নামের যে লোকটিকে হত্যা করা হয়েছিল সে ঘটনার সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। একটি কু-চক্রী মহল আমাকে জরিয়ে যে মিথ্যা মামলা দিয়েছিলো, সে মামলায় বগুড়া জেলা দায়রা জজ কোর্ট আমাকে স্বশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। আমার পরিবার উচ্চ আদালতে আপিল করে।
সে আপিলের প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত আমার স্থায়ীভাবে জামিন মঞ্জুর করেন। ৩ মাস কারাভোগের পর আমি আবার আপনাদের মাঝে ফিরে এসেছি। আমি যেনো আপনাদের দেওয়া দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারি, সে জন্য সবাই আমাকে দোয়া ও সহযোগিতা করবেন।
সংবর্ধনা শেষে প্যানেল চেয়ারম্যান মীর্জা হাকিম মন্ডল তার উপর অর্পিত দায়িত্ব, জনগণের ভোটে নির্বাচিত চেয়ারম্যান রশিদুল ইসলাম মৃধা রশিদকে হস্তান্তর করেন। পরিষদের চেয়ারম্যান কক্ষে রেজুলেশন বুকে স্বাক্ষর করে দায়িত্বভার গ্রহন করেন চেয়ারম্যান রশিদ মৃধা। পরিশেষে আল্লাহ পাকের নিকট কৃতজ্ঞতা জানিয়ে, সকল পরিষদ সদস্যদের সাথে নিয়ে পূর্বের মতো আবারও সকল কার্যকর পরিচালনা করার ঘোষানা দেন তিনি।
এ সময় ইউপি সচিব আজিজুল হক,ইউপি সদস্য আলেফ মোঃ আব্দুল করিম নতুন সরকার,আজিজার রহমান,হাফিজার রহমান হ্যাপি,তাজুল ইসলাম রাসেল,এমদাদুল হক সকল সদস্য ও ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনসাধারণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
