আর মাত্র ১২ দিনের অপেক্ষা। এরপরেই ১ অক্টোবর, সারাদেশে এক যোগে পালিত হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। আর এই দুর্গাপূজা উপলক্ষে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য অঞ্চল বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। শেষ সময়ে এসে প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত মুহুর্ত কাটাচ্ছেন মৃৎশিল্পীরা। পুরো উপজেলা জুড়েই যেন সেটা জানান দিচ্ছে।
এবার শেরপুর উপজেলায় পৌর শহর ও দশটি ইউনিয়নে ৮৯টি মন্ডপে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় জাঁকজমকপূর্ণভাবে শারদীয় দুর্গাপূজার আয়োজন চলছে। এর মধ্য পৌর শহরে রয়েছে ৩১টি মন্ডপ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কারিগররা কাদা-মাটি, খড়-কাঠ সংগ্রহ থেকে শুরু করে, প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। সকাল থেকে রাত অবধি চলছে এই কার্যক্রম। এখন শারদীয় দুর্গোৎসবে মেতে ওঠার অপেক্ষায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। এ উৎসবকে ঘিরে উপজেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের মাঝে দেখা দিয়েছে কর্ম ব্যস্ততা।দিন রাত কাজ করে শিল্পীদের হাতের নিপুণ ছোঁয়ায় তৈরি হচ্ছে প্রতিমা। যেন দম ফেলার সময় নেই কারিগরদের। তবে দ্রব্য মূল্যের সাথে তাল মিলিয়ে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে রং, তুলি ও সাজসজ্জার দাম বেশি হওয়ায় এবং প্রতিমা তৈরির মজুরি কম পাওয়ায় কিছুটা অসন্তোষ রয়েছে শিল্পীদের।
প্রতিমা শিল্পী শ্রীকান্ত সরকার বলেন, আমি ২১বছর যাবত প্রতিমা বানায়। দুর্গা প্রতিমা ছাড়াও সকল ধরনের প্রতিমা বানিয়ে থাকি এইবার আমি ২০টি প্রতিমা তৈরি করতেছি। আমাকে সহযোগিতা করছে লিটন, রামপ্রসাদ, পলাশ, বাচ্চু, শ্রাবণ ও সৈকত দম ফেলার সময় পাচ্ছিনা।এখন শুধু মাটির কাজ চলছে এবং দুই-একটা প্রতিমায় সাদা রং করা হয়েছে।এবার প্রতিমার মূল্য সর্বনিম্ন ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু হয়েছে।
তিনি আরো বলেন বগুড়া সদর, রংপুর জেলার মহিমাগঞ্জ থানা, নওগাঁ সহ বিভিন্ন জেলার লোক আমার কাছ থেকে দুর্গা প্রতিমা নেন। তিন মাস আগে দূর্গা পূজা উপলক্ষে প্রতিমা তৈরির অডার পেয়ে কাজ শুরু করেন। এবং দূর্গা পূজার দশমীর দিনের পর দিন থেকে লক্ষ্মী প্রতিমা কাজে আবার ব্যস্ত হয়ে পড়বো।
এদিকে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনের লক্ষ্যে শেরপুর পূজা উদযাপন কমিটির উদ্যোগে কেন্দ্রীয় জগন্নাথ মন্দিরের গত শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের উপজেলা কমিটির সভাপতি সাংবাদিক নিমাই ঘোষ। এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলার বিভিন্ন পূজা মণ্ডপের প্রতিনিধিরা আইন শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখাসহ পূজা মণ্ডপগুলোতে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য দাবি জানান।