স্টাফ রিপোর্টার
বর্তমানে বাংলাদেশের ঘরে ঘরে যেসব টেলিভিশন চ্যানেল দেখা যায়, তার অনেকটাই দখল করে রেখেছে ভার*তীয় চ্যানেলগুলো—বিশেষ করে বাংলা ও হিন্দি ভাষার চ্যানেল। প্রশ্ন জাগে, এই চ্যানেলগুলো আমাদের কী শেখায়? আমাদের সংস্কৃতি, মূল্যবোধ, পারিবারিক ঐতিহ্য—এগুলোর সঙ্গে কি এই চ্যানেলগুলোর কোনো মিল আছে?
বুঝে না বুঝে আমরা এমন সব অনুষ্ঠান দেখে চলেছি, যেখানে পরকীয়া, ধদর্শন,স্বামী-স্ত্রীর বিবাদ, কাজের লোকের ষড়*যন্ত্র, পাড়াপড়শির কুটনামি, অন্যায় আর বঞ্চনাই যেন নিয়মিত বিষয়। মনে হয়, এ চ্যানেলগুলো যেন কোনো নাটক বা বিনোদন চ্যানেল নয়, বরং “অনৈতিকতা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র”। আরও ভয়াবহ ব্যাপার হলো, এসব অনুষ্ঠান তৈরিই হয় বাংলাদেশের দর্শকদের টার্গেট করে।
আমি নিজেই দেখেছি, মাত্র দুই বছর বয়সেই অনেক শিশু হিন্দি বলতে শেখে। আমার বাসাতেই তিনজন সহকারী ছিলেন, যাঁরা ভারতীয় সিরিয়ালে আস*ক্ত ছিলেন। তারা টিভি চালিয়ে আমায় নিয়ে খেলত । তাদের সঙ্গে খেলতে খেলতে আমার শৈশবের ভাষা হয়ে গিয়েছিল হিন্দি।আমি দু বছর বয়সে হিন্দি বলতে পারতাম ।
যদি এই ভার*তীয় চ্যানেলগুলোর পরিবর্তে ইংরেজি বা আরবি ভাষার শিক্ষণীয়, মানসম্মত চ্যানেলগুলো দেখানোর ব্যবস্থা করা হতো, তাহলে আমাদের সন্তানরা সহজেই ইংরেজি বা আরবি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করতে পারত। এই দক্ষতা ভবিষ্যতে প্রবাসজীবনে বা আন্তর্জাতিক কর্মক্ষেত্রে তাদের অনেক এগিয়ে দিত।
ভারতের দর্শকরা কখনোই বাংলাদেশের চ্যানেল দেখবে না—এটাই তাদের দেশপ্রেমের প্রমাণ। অথচ আমরা দিব্যি তাদের সংস্কৃতি আমাদের ঘরে ঢুকিয়ে দিচ্ছি। এ অবস্থা চলতে থাকলে আমাদের পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধন আরও দুর্বল হয়ে পড়বে।
তাই সময় এসেছে সিদ্ধান্ত নেওয়ার—ভার*তীয় চ্যানেলগুলো বাংলাদেশে প্রচার বন্ধ করার। এটা শুধু সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা নয়, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে রক্ষা করার দায়িত্ব। এসব চ্যানেল বন্ধ হলে সমাজে অনেক অপরাধ, পারিবারিক কলহ , ধ*র্ষ*ণ এমনকি জু*য়া ও নৈতিক অবক্ষয় অনেকাংশে কমে আসবে।
#বাংলাদেশ #Bangladesh
