দৈনিক প্রাণের শহর বিডি ডেস্ক:সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর সর্বপ্রথম জাতির পিতাই দেশের ভূমিহীন-গৃহহীন-ছিন্নমূল অসহায় মানুষের পুনর্বাসনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন নোয়াখালী জেলা, বর্তমানে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলাধীন চরপোড়াগাছা গ্রাম পরিদর্শনে যান এবং ভূমিহীন-গৃহহীন-অসহায় মানুষের পুনর্বাসনের নির্দেশ প্রদান করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতার নির্মম হত্যাকান্ডের পর জাতির পিতা কর্তৃক গৃহীত জনবান্ধব ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রমগুলো স্থবির হয়ে পড়ে। ভূমিহীন-গৃহহীন ছিন্নমূল মানুষের পুনর্বাসন কার্যক্রমও বন্ধ হয়ে যায়।
দীর্ঘ সংগ্রাম ও আন্দোলনের পথ পেরিয়ে ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনবান্ধব ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রমগুলো পুনরায় চালু করেন।
১৯৯৭ সালের ১৯ মে কক্সবাজার ও সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালের ২০ মে ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার সেন্ট মার্টিন পরিদর্শন করেন এবং ঘূর্ণিঝড় আক্রান্ত গৃহহীন ও ছিন্নমূল পরিবার পুনর্বাসনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেন। তাঁর নির্দেশনার প্রেক্ষিতে স্থানীয় একজন আওয়ামী লীগ নেতার দানকৃত জমিতে পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু করা হয়। ঘূর্ণিঝড় ও নদী ভাঙ্গন কবলিত ভূমিহীন, গৃহহীন ও ছিন্নমূল পরিবার পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে ‘আশ্রয়ণ’ নামে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এ প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৭ সাল হতে মার্চ ২০২২ পর্যন্ত ৫,০৯,৩৭০ টি ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসন করা হয়েছে।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের ব্যারাক নির্মাণের কাজ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের মাধ্যমে এবং ‘যার জমি আছে ঘর নেই, তার নিজ জমিতে গৃহ নির্মাণ’ ও দুই কক্ষ বিশিষ্ট একক ঘর নির্মাণ এর কাজটি উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বাসস।
