এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার ছাতুয়া এলাকার মোঃ তবিবুর রহমান (৫০) আদমদীঘি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন যে, তার বোন জবেদা বেগম (৬২), স্বামী- মৃত সোলাইমান, গ্রাম মিতইল, থানা-আদমদীঘি, জেলা- বগুড়া নিজ বাড়িতে তার মেয়ে ও মেয়ে জামাইসহ সপরিবারে বসবাস করতো। তার বোন জবেদা বেগম এর নামের ৫৭ শতক জায়গা তার মেয়ের জামাই রাসেল প্রায়ই বিক্রি করে টাকা দিতে বলতো এবং নির্যাতন করতো। এমতাবস্থায় গত ১০ জুলাই ভিকটিমের মেয়ে জামাই রাসেল কাজের জন্য বাহিরে যায় ও দুপুরে বাড়ীতে এসে দুপুরের খাবার চান।
ভিকটিমের মেয়ে তার জামাইকে খাবারের জন্য একটু অপেক্ষা করতে বলে। কথা কাটাকাটি হয় ও একপর্যায়ে ভিকটিমের মেয়েকে তার মেয়ের জামাই রাসেল রান্না ঘরের লোহার বেড়ী হাতে নিয়ে মারপিট শুরু করে। তখন ভিকটিম তাদের মারপিট সমাধান করার জন্য এগিয়ে আসলে জামাই রাসেলের হাতে থাকা লোহার বেড়ী দিয়ে শাশুড়ি জবেদা বেগম এর গলায় আঘাত করলে গলার ভিতরে ঢুকিয়া যায় ও কৌশলে রাসেল পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিমের মেয়ের চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসে ও ভিকটিমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ, রওনা করলে পথিমধ্যে মৃতবরণ করেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে আদমদীঘি থানার মামলা নং-৫, তারিখ-১০/০৭/২৪ ধারা-৩০২ পেনাল কোড-১৮৬০ রুজু হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সহিত সার্বক্ষণিক সমন্বয় করতঃ ছায়াতদন্ত ও গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে। মামলার আসামী গাইবান্ধা জেলায় সাঘাটা থানা এলাকায় অবস্থান করছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ ১১ জুলাই র্যাব-১২, সিপিএসসি, বগুড়া ও র্যাব-১৩, সিপিসি-৩, গাইবান্ধা এর যৌথ অভিযানে একটি আভিযানিক দল গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা থানাধীন হাজীপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ রাসেল (২৮), পিতা- মোঃ সেলিম, সাং- মিতইল (শ্বশুর মৃত সোলাইমান এর বাড়ী), থানা- আদমদীঘি, জেলা- বগুড়া’কে ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল র্যাবকে জানায় তার পরিবারের সাথে কোন যোগাযোগ রাখা তার স্ত্রী ও শাশুড়ি পছন্দ করতো না।
ঘটনার দিন রাসেল তার ভাবীর জন্য গ্যাস ট্যাবলেট কিনতে হবে এরকম একটা কথা তার স্ত্রীকে বলেছিল। এ নিয়ে স্ত্রী বিরক্ত হয়ে তাকে গালাগালি করে এবং এক পর্যায়ে স্ত্রী ও শাশুড়ি মিলে তাকে আক্রমণ করে। সেও পাল্টা আক্রমণ করলে এমন ঘটনা ঘটে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদমদীঘি থানাৎ হস্তান্তর করা হবে।