এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ
বগুড়ার ধুনটে পূর্ব শত্রুতার জেরে নুরনবী (৩০) নামের এক ছাত্রদল নেতার উপর হামলা চালিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার (১০ই জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলায় ভান্ডারবাড়ি বাজার এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এঘটনায় নুরনবী বাদি হয়ে রাতে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের ভূতবাড়ী গ্রামের মৃত সামছুল হকের ছেলে নুরনবীর সাথে একই এলাকার মৃত মনছের আকন্দের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৩৩) এবং রফিকুল ইসলাম (৪৫) এর দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। এতমাস্থায় শুক্রবার বিকেলে নুরবনী ভান্ডারবাড়ি বাজারে একটি চা স্টলের সামনে চা পান করার উদ্দেশ্যে অবস্থান করছিলেন। এসময় শফিকুল ও রফিকুল হত্যার উদ্দেশ্যে নুরনবীর উপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে অতর্কিত ভাবে উপর হামলা চালায়। এ সময় তাকে কিল-ঘুষি, লাথি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হত্যা চেষ্টার চালানো হয়।
বাদি নুরনবী জানান, আমি শুক্রবার বিকেলে বালু বিক্রির এক লাখ টাকা নিয়ে ভান্ডারবাড়ী বাজারের ভিতর সেলিম নামের এক ব্যাক্তির চায়ের দোকানের সামনে অবস্থান করছিলাম। তখন শফিকুল ও রফিকুল অতর্কিত ভাবে আমার উপর হামলা করে এবং আমাকে কিলঘুষিসহ এলোপাতারীভাবে মারধর করতে থাকে ও আমার কাছে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেয়। একপর্যায়ে শফিকুল আমার গলার শ্বাসনালী চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে এবং রফিকুল আমার চোখে মুখে ঘুষি মেরে ছেলা ফোলা জখম করে। আমি ডাক-চিৎকার দিলে আশে পাশে থাকা লোকজন এগিয়ে এসে আমাকে উদ্ধার করে। ঐসময় তারা আমাকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শণ করে চলে যায়। পরে এঘটনায় আমি ২ জনকে বিবাদি করে ধুনট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
বিবাদী শফিকুল ইসলাম জানান, গতকাল নুরনবীর সাথে কাটাকাটির একপযার্য়ে নুরনবী উত্তেজিত হয়ে পড়ে গিয়ে তার চোখের উপরে সামান্য কেটে গেছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, তাকে হত্যাচেষ্টা ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসআই মোঃ মামামুর রশিদ জানান, এঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

