এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ
বগুড়ার ধুনটে তাস নামক জুয়ার আসর থেকে শিক্ষক, এ্যাডভোকেট সহ ১১ জুয়াড়িকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। শুক্রবার (২৪ই জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের পীরহাটি গ্রাম থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত জুয়াড়িরা হলেন, উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের খাদুলি গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে রাকিব (৪৮), কাশিয়াহাটা গ্রামের ইসাহাক আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৪০), পীরহাটি গ্রামের মৃত আবু বক্কর মন্ডলের ছেলে তোতা মিয়া (৫৪), খাদুলি গ্রামের মৃত জালাল উদ্দীনের ছেলে খাদুলি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামির উদ্দিন (৫৫), ধেরুয়াহাটি গ্রামের মৃত আলিমুদ্দিনের ছেলে আল আমিন (৫২), মৃত মনছের আলীর ছেলে রতন সরকার (৪৭), অলোয়া গ্রামের মৃত নওশের আলীর ছেলে সোহেল রানা (৪৩), গোপালপুর খাদুলি গ্রামের মৃত সামাদ মুন্সির ছেলে রান্ডিলা আতাউল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জহুরুল ইসলাম (৫৫), খাদুলি গ্রামের হানিফ শেখের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৩৮), গোপালনগর ইউনিয়নের দেউরিয়া গ্রামের ডাক্তার শফিকুল ইসলামের ছেলে বগুড়া জর্জ কোর্টের এ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান মোমিন (৩৭), বগুড়া সদর থানার নারুলী গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে বাবুল আক্তার (৫০)।
থানা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে পুলিশ সদস্যরা ডিউটি করাকালীন সময়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের পীরহাটি গ্রামের মৃত আজগর আলীর ছেলে ইমন শেখের বাড়িতে চৌচালা একটি ঘরের মধ্যে কতিপয় লোক একত্রিত হয়ে তাস ও টাকা দিয়ে জুয়া খেলছে। তখন তাৎক্ষণিক ভাবে তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছা মাত্র পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সেখানে থাকা সকলেই কৌশলে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ সদস্যরা তাদেরকে জুয়া খেলার সরঞ্জামাদি ও নগদ টাকা সহ হাতে নাতে আটক করে। এসময় তাদের কাছ থেকে ১টি চাদর, ৩ বান্ডিল তাস, ও ৪৪ হাজার ৫শত ২০ টাকা জব্দ করে। পরে প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় আটককৃত ব্যাক্তিরা এলাকার পেশাদার জুয়ারি।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সাইদুল আলম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জুয়ারীদের গ্রেপ্তার করে ১৯৬৭ সালের প্রকাশ্য জুয়া আইনের ৩/৪ ধারায় মামলা দায়েরের পর শনিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তাং,২৫/০১/২৫ ইং
এম,এ রাশেদ

