এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার গোহাইল খাদাস গ্রামে শত্রুতার জেরে এক মৎস্যচাষীর লিজ নেওয়া পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে বিপুল পরিমাণ মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে। এতে প্রায় ৬ লক্ষ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী মৎস্যচাষী মাজহারুল খন্দকার সাগর।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা সাগরের প্রায় ৫ বিঘা আয়তনের পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে। পরদিন সোমবার সকালে কর্মচারী সুফল ও স্থানীয় লোকজন পুকুরে মাছ মৃত অবস্থায় ভেসে থাকতে দেখে তাৎক্ষণিকভাবে মালিককে খবর দেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে সাগরও মৃত মাছ দেখতে পান।
মাজহারুল খন্দকার সাগর জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে ওই পুকুরে পবাদা মাছ চাষ করে আসছিলেন। পূর্ব শত্রুতার জেরে খাদাস পশ্চিমপাড়ার আব্দুল হালিম পরিকল্পিতভাবে এই নাশকতা চালিয়েছেন বলে তার ধারণা। তিনি বলেন, “আমার প্রায় ৬ লক্ষ টাকার মাছ মারা গেছে। এতে আমি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।”
ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ ও আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, মৎস্যচাষের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে এ ধরনের নাশকতা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও অমানবিক। তারা দ্রুত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।
অভিযুক্ত আব্দুল হালিম অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “পুকুরে গ্যাসের কারণে মাছ মারা যেতে পারে। আমাকে অকারণে দোষ দেওয়া হচ্ছে।”
এ বিষয়ে শাজাহানপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. রাশেদ হাসান বলেন, “মৎস্যচাষীর পুকুরে যদি বিষ প্রয়োগ করা হয়ে থাকে, তবে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।”
শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, “পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

