স্টাফ রিপোর্টার:
বগুড়ার শিবগঞ্জে অসহায় বিধবাকে ভাতা দেওয়ার নাম করে টাকা আত্নসাতের অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ইউপি সদস্য হলেন উপজেলার ৯নং দেউলী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য আনিছুর রহমান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শিবগঞ্জ উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের পোড়ানগরী (সরকার পাড়া) গ্রামে অতি কষ্টে জীবনযাপন করছেন বিধবা আলেয়া বেওয়া (৬৩)। স্বামী বায়েজিদ বোস্তামী ২৭ বছর আগে মারা যান। সংসার জীবনে দুই ছেলে ও এক মেয়ের জননী আলেয়া বেওয়া। বড় ছেলে পাপ্পু ১৬ বছর বয়সে মারা যায়, এর পর থেকে ছোট ছেলের সাথে থাকতেন আলেয়া বেওয়া। পারিবারিকভাবে মিল না থাকায় আলাদা করে সংসার করছেন ছোট ছেলে খাইরুল ইসলাম। মেয়ে বিয়ের পর স্বামীর সংসার করছেন।
আলেয়া বেওয়া জানান, ৪-৫ মাস আগে আনিছুর মেম্বারকে ৩ হাজার টাকা দিয়েছিলাম বিধবা কার্ড করে দেওয়ার জন্য। এখন পর্যন্ত কার্ড করে দেননি। কার্ডের কথা বললে আরও ৪ হাজার টাকার দাবি করেন। এর আগে উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সাবেক মহিলা মেম্বার রেহেনাকেও টাকা দিয়েছিলাম বিধবা কার্ডের জন্য। তিনিও কার্ড করে দেননি। পরে কিছু টাকা ফেরত দেন। এছাড়াও এলাকার কয়েকজনকে টাকা দিয়েছিলাম একটা বিধবা কার্ড করে নেওয়ার জন্য। তারাও কোনো ব্যবস্থা করেননি। বিধবা কার্ডের জন্য এভাবে বিভিন্ন ব্যাক্তি ও প্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি। এখন আর হাটতেও পারিনা। খুব কষ্টে আছি আমি।
নিরুপায় হয়ে সরকারের কাছে এ সব হয়রানীর অভিযোগ করতে চান আলেয়া বেওয়া।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আনিছুর রহমান জানান, টাকা নেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি আলেয়া বেওয়ার থেকে কার্ডের জন্য কোনো টাকা নেইনি। দেউলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম বলেন, কার্ডের জন্য কোনো টাকা লাগবে না। একটা টাকাও যেনো কাউকে না দেয়। আমার সাথে যোগাযোগ করলে কার্ডের ব্যবস্থা করে দেবো।
শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।