এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ
বগুড়ার শিবগঞ্জে বসত বাড়ীতে হামলা ভাংচুর পিতাপুত্রকে মারপিট বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি থানায় অভিযোগ। থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বিহার ইউনিয়নের নাটমরিচায় (আদর্শগ্রাম) এর কৃষক ঠান্ডা মিয়ার সঙ্গে পূর্ব হইতে জমি জমা বিরোধের জের ধরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারী দুপুরে একই গ্রামের প্রতিপক্ষ মৃত আকবর আলীর ছেলে হান্নান, জিন্নাহ ও জসিম উদ্দিনের ছেলে আব্দুল হামিদসহ ১৫/২০ জনের একটি দল একত্রিত হয়ে হাতে লাঠিসোটা নিয়ে ঠান্ডার বাড়িতে গিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে কৃষক ঠান্ডা মিয়া ও তার ছেলে কলেজ ছাত্র মিফতাহুলকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে আহত করে ঠান্ডা মিয়ার বাড়িঘর ভাংচুর করে।
ঠান্ডা মিয়া বর্তমানে শিবগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পরদিন ১৯ ফেব্রুয়ারী রাত ৯ টার দিকে ঠান্ডা মিয়ার বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে প্রতিপক্ষরা বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায়। গ্রামের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায় এবং শিবগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঠান্ডা মিয়ার বসতবাড়ীর রাস্তার পার্শ্বের জায়গায় ঐ এলাকার আব্দুল হান্নান, জিন্নাহ, আঃ হালিমসহ কয়েকটি পরিবার গত ৫ আগষ্টের পর তারা টিন দিয়ে বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে আসছে। হঠাৎ করে গত ১৭ ফেব্রুয়ারী দুপুর ১২ টার দিকে তাদের বসত বাড়ী ভাংচুর করা হয়। ঐ ঘটনার সূত্রধরে উভয়পক্ষের পরিবারের মধ্যে টানা উত্তেজনা ও বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। কৃষক ঠান্ডা মিয়া জানান, আমার বাড়ির পার্শ্বে পাকা রাস্তা ভবিষ্যতে প্রশস্ত হতে পারে সেজন্য আমি বাড়ির পাশে সরকারী জায়গা রেখে বাড়ি নির্মাণ করেছি। সেই সুযোগ নিয়ে হান্নান গংরা তড়িঘড়ি করে জোড় পূর্বক ভাবে বাড়ি নির্মাণ করেছে। হান্নানদের বাড়িঘর ভাংচুরের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন তারা নিজেরা বাড়িঘর ভাংচুর করে আমাদের নামে থানায় মিথ্যা অভিযোগ করেছে। শুধু তাই নয় বর্তমানে হান্নানদের রাস্তার পার্শ্বে আরও কয়েকটি বাড়ি রয়েছে সেই জায়গাও সরকারী তাদের কোন দলিল নেই। অপরপক্ষ হান্নান বলেন, আমাদের জায়গার কাগজপত্র রয়েছে এবং প্রতিপক্ষরা আমাদের বাড়ি ভাংচুর করেছে। এঘটনায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিয়াউর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসনিমুজ্জামান, শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শাহিনুজ্জামান শাহীন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

