এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ
বগুড়া সারিয়াকান্দিতে সেনা সদস্যের ২৭ শতক সম্পত্তির ফসল নষ্ট ও জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা থানায় অভিযোগ। গত রবিবার (২৫ই আগস্ট) সকালে উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নের হাওরাখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় সেনা সদস্যের স্ত্রী মোছাঃ সিমা আক্তার বাদী হয়ে হাওরাখালী গ্রামের মৃত হুরমুত আলী প্রাং এর ছেলে হাতেম আলী প্রাং, তাহার স্ত্রী রোকেয়া খাতুন, ছেলে রুহুল আমিন, মেয়ে রত্না খাতুন, ও ফেন্সি খাতুনের বিরুদ্ধে গত ২৫ই আগস্ট বিকালে সারিয়াকান্দি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
জমির মালিক ভুক্তভোগী সিমা আক্তার সংবাদ কর্মীদের জানান, নিম্ন তফসীলভূক্ত সম্পত্তি তাহার শশুর মৃত মোজাফ্ফর রহমান’ বিগত ০১/১২/১৯৯৬ খ্রিঃ তারিখে মৃত তৈয়ব আলী’র নিকট থেকে ১২ শতক জমি ও ০৯/০৪/১৯৯৭ খ্রিঃ খারিখে মৃত অমিছা বেওয়া’র নিকট ১৫ শতক জমি দুই ব্যক্তি নিকট থেকে সর্বমোট ২৭ শতক জমি ক্রয় করে নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছি।
কিন্তু ২৫ আগস্ট সকাল অনুমান ১০ টার দিকে প্রতিপক্ষের লোকজন প্রতিবেশী মৃত হুরমুত আলী প্রাং এর ছেলে হাতেম তাহার লোকজন নিয়ে দলবদ্ধ হয়ে সারিয়াকান্দি মৌজা-পাকুরতলী, কামালপুর, জে.এল নং-৯৬, ৭৩, খতিয়ান ডিপি নং-১৫২৯, ৪৬৩ সাবেক/ হাল দাগ নং রকম পরিমান ৩৫৫/৮২২ ধানী ১৬ শতক। ২৮৮৪,২৯০৮,২৮৮২ ১১ সর্বমোট ২৭ শতক। নিম্ন তফসীলভূক্ত সম্পত্তিতে এসে দলবদ্ধ হয়ে ধানের চারা নষ্ট করে ক্ষতি সাধন করতে থাকে। তখন সংবাদ পেয়ে বিবাদী ঘটনাস্থলে গিয়ে বিবাদীদের জিজ্ঞাসা করে যে, আমাদের সম্পত্তির রোপনকৃত ধান নষ্ট করছেন কেন এবং অন্যান্য বিবাদীগণদের তাদের জমির ধান নষ্ট করতে নিষেধ করিলে সকল বিবাদীগণ তাহাকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করতে থাকে এবং ১নং বিবাদীর হুকুমে অন্যান্য বিবাদীগণ বাদীর সঙ্গে মারমুখি আচরণ করে এবং বাদীর পরিবারের কোন ছেলে সদস্য বাড়ীতে না থাকায় সেই সুযোগে বাদীর সাংসারিক বিভিন্ন ক্ষতি সাধন করতে পারে আশংকা করছে ও তারা এলাকার খারাপ প্রকৃতির লোক। তারা বাদীকে হুমকি দিয়ে বলে যে, তোর স্বামী এবং তোর ননাসদের স্বামী সেনা সদস্য’দের নামে মিথ্যা মামলা করবে এবং চাকরী খয়াবে মর্মে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করে। আমরা তাদের ভয়ে মানবতার জিবন যাপন করছি যেকোন মহুর্তে আমার ও আমার পরিবারের অর্থনৈতিক ও মানসিক ক্ষতি সাধন করিতে পারে।
এ বিষয়ে সারিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।