এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ
বগুড়ার আদমদীঘিতে চোরাই তিন মোটরসাইকেল উদ্ধারসহ আন্ত:জেলা ছিনতাই চক্রের ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, বগুড়া জেলা সোনাতলা উপজেলার কোয়ালিপাড়া গ্রামের তোজাম্মেল হকের ছেলে এনামুল হক ওরফে দুখু (২৪), নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার বিলদহ জিয়ানীপাড়ার নামাজ আলীর ছেলে মিন্টু প্রামানিক (৩৫), একই উপজেলার দড়ি মহিষমারী গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে এনামুল জামাদার (২৬), একই গ্রামের অহেদ আলী সরকারের ছেলে আছাদ আলী সরকার (৪৯), নাটোর সদরের কান্দিভিটা পূর্বপাড়ার হানিফ আলী শেখের ছেলে গোলাম রব্বানী (৩২), নওগাঁ সদরের সাহাপুর হিন্দুপাড়ার অমূল্য চন্দ্র সরকারের ছেলে প্রদীপ (৫০) নবমুসলিম হিসাবে নাম আব্দুর রশিদ ও একই জেলার শোলগাছি রামরায়পুর দীঘিরপাড় গ্রামের আবুল কালাম আজাদের ছেলে রুবেল (২৫) ।
এব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে।
আদমদীঘি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জিল্লুর রহমান জানান, গত ২০২২ সালের ১৮ নভেম্বর আদমদীঘির শিবপুর গ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা গোলাম মোস্তফা পশ্চিম ঢাকারোড সান্তাহার-নওগাঁ বাইপাস মোরে অবস্থিত গ্যারেজ ট্রাক মেরামত শেষে রাত সোয়া ৩টায় ডায়াং মোটরসাইকেল যোগে মহাসড়ক দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সে সান্তাহার বকুলতলা আজমেরী ফ্লাওয়ার মিলে সামনে সড়কে পৌঁছামাত্র ৫ থেকে ৬ জনের একদল ছিনতাইকারি গোলাম মোস্তফার পথরোধ করে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তার কাছে থেকে একটি মোটরসাইকেল, মোবাইল ফোন ও ১১ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
পরে আহত অবস্থায় গোলাম মোস্তফাকে জনতা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান। এ ঘটনায় গোলাম মোস্তফার ভাই গোলাম মর্তুজা বাদি হয়ে আদমদীঘি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এদিকে মামলা দায়েরের পর বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তীর দিক নির্দেশনায় আদমদীঘি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জিল্লুর রহমান, মামলার তদন্তকারি উপ পরিদর্শক রকিব হোসেন ও তারেক হোসেন ফোর্সসহ গত দুই দিনে বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে প্রথমে সোনাতলার এনামুল হক দুখুকে গ্রেফতার ও তার দেয়া তথ্যানুসারে অপর আসামীদের গ্রেফতার ও তাদের নিকট থেকে আওয়ামীলী নেতা গোলাম মোস্তফার ছিনতাই হওয়া মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোনসহ তিনটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।