স্টাফ রিপোর্টার বগুড়ার শাজাহানপুরে সরকারী খাস জমির উপর দিয়ে যাওয়া চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে কবর দেয়ায় ৮টি পরিবার গৃহবন্দি হয়ে পড়েছে। বাঁধা দেয়ায় বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি সহ বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদের হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার দুপুরে রিপন সরকার নামে এক ব্যক্তি শাজাহানপুর প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন।
রিপন সরকার তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, শাজাহানপুর উপজেলার খোট্টাপাড়া ইউনিয়নের খোট্টাপাড়া পশ্চিমপাড়া গ্রামে তাদের বসবাস। খোট্টাপাড়া মৌজার দাগ নং-৬৮৭, জেএল নং-১৬৭, খতিয়ান নং-০১ সরকারী খাস জমির উপর চলাচলের রাস্তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রায়ন প্রকল্পের সুবিধাভোগী একটি পরিবার সহ আমরা ৮টি পরিবারের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে যাতায়াত করে আসছেন। কিন্তু ৪ বছর আগে ওই খাস জমির উপর রাস্তা বন্ধ করে পাশের জমির মালিক মৃত ইকাম উদ্দিনের ছেলে মোকছেদুল মমিন তার বাবা ও মার কবর দেন। সেসময় নিষেধ করলেও তারা জোর করে কবর দেন। এতে করে বিগত ৪ বছর যাবদ তারা যাতায়াতে চরম বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়েন।
এমতাবস্থায় ২০২০ সালে উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভুমি) নিকট লিখিত অভিযোগ করা হলে এসিল্যান্ড সরেজমিনে তদন্তে যান। সেময় মোকছেদুল মমিন নিজের ভুল স্বীকার করেন এবং কবরের পাশে তার জমি দিয়ে চলাচলের রাস্তার জন্য ১৯ ফিট জমি বের করে দিতে রাজি হোন। কিন্তু পরবর্তিতে তিনি রাস্তা বের করে না দিয়ে উল্টো বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকিসহ তাদেরকে বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদ করার হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। এমতাবস্থায় মোকছেদুল মমিন রবিবার (২ অক্টোবর) ওই খাস জমির পাশ দিয়ে ইটের প্রাচীর নির্মাণ করছেন। এতে করে প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রায়ন প্রকল্পের সুবিধাভোগী ওই পরিবার সহ ৮টি পরিবারের লোকজন যাতায়াত এবং রিক্্রা-ভ্যান চলাচল করতে না পেরে দৈনন্দিন জীবন যাপনে চরম বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়ার পাশাপাশি তারা গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন। এমতাবস্থায় সরকারী খাস জমি উদ্ধারের পাশাপাশি চলাচলের রাস্তা খোলাসা পূর্বক তাদের এই চরম ভোগান্তি থেকে রক্ষা করার জন্য সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সংশ্লীষ্ট প্রশাসনের কাছে বিনীত আবেদন জানান তারা।
মোকছেদুল মমিন জানান, নিজেদের ব্যক্তি মালিকানা জমিতে তিনি কবর দিয়েছেন। পরবর্তিতে ওই জমির দাগ সরকারী খাতায় উঠেছে। তাছাড়া চলাচলের জন্য ৫ ফিট জমি ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বিষয়টি ইউএনও, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ অনেকে জানেন।
উপজেলার নির্বাহী অফিসার আসিফ আহমেদ জানান, বিষয়টি তিনি জেনেছেন। তহশিলদারকে সরেজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
