এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ
বিএনপির ঘাঁটি বলে পরিচিত বগুড়ারশাজাহান-গাবতলী ( ৭) আসেন আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন পেলে ধানেরশীষ কে পরাজিত করে নৌকা মার্কারপক্ষে জয় ছিনিয়ে আনতে চান বগুড়াজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি,জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগেরসাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, জেলাআওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকও জেলা পরিষদের সদস্য আসাদুররহমান দুলু। এই আসনে বিএনপিরপ্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানেরবাড়ি হবার সুবাদে এই আসন কেবিএনপির ঘাঁটি বলে মনে করা হয়।
গতনির্বাচনে বিএনপি নির্বাচন বয়কট করলেএখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হোন। তিনি জয়ীহবার পর থেকে তার বিরুদ্ধে কমিশনবানিজ্য সহ নানান ঘোরতর অভিযোগউঠে। তার বিভিন্ন অন্যায় ও দুর্নীতিরবিরুদ্ধে শাজাহানপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদেরমাঝে ক্ষোভ দানা বেঁধে উঠে। এরি পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরাএমপির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেএবং তার কুশপুত্তলিকা দাহ করে। এবারবিএনপি নির্বাচন বয়কট না করলেএখানে বিএনপির একাধিক প্রার্থী আছে।সেই সাথে আওয়ামী লীগেরও একাধিকপ্রার্থী আছে এই আসনে।
ক্ষমতাসীনআওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলীয়মনোনয়ন পেতে একাধিক প্রার্থী কেন্দ্রীয়নেতাদের সাথে লবিং করলেও এখানেদলীয় কর্মসূচি ও ব্যাক্তিগত ভাবে বিভিন্নউন্নয়ন মুলক কাজ করে যাচ্ছেন জেলাআওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকআসাদুর রহমান দুলু। তিনি প্রায় প্রতিদিনগাবতলি – শাজাহানপুর উপজেলায়একাধিক প্রোগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন।মসজিদ, মন্দির, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেনিজ উদ্যগে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালিয়েযাচ্ছেন। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলেআসাদুর রহমান দুলু বলেন এবার দলযদি আমাকে মনোনয়ন দেন তাহলেধানের শীষ কে পরাজিত করে নৌকামার্কার পক্ষে জয় ছিনিয়ে আনবোইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন অত্র এলাকারতরুণ ও যুবসমাজ এবং সাধারণ মানুষেরভালোবাসা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাবো।স্থানীয় এমপির বিভিন্ন অভিযোগ নিয়েপ্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন তার বিরুদ্ধেএমন অভিযোগ শুনেছি কিন্তু এ বিষয়েআমি কোন মন্তব্য করতে চাই না। তিনিবলেন আমি নির্বাচিত হলে কোন বৈষম্যনা রেখে এলাকায় সমানতালে উন্নয়নকরে যাবো। কোন কমিশন বানিজ্যথাকবে না। কোন সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসা,চাঁদাবাজি ও বিশেষ করে দলীয় প্রভাবখাটিয়ে কোন অন্যায় কর্মকাণ্ডের প্রশ্রয়দেওয়া হবে না।