এম,এ রাশেদ
বগুড়ার শিবগঞ্জ এক কৃষকের শক্রতার জের ধরে কপি চারা কর্তন, ভূক্তভোগী কৃষকের মাথায় হাত, বিচারের দাবী, প্রতিনিধি কর্তৃক পরির্দশন।
জানাযায়, শিবগঞ্জ উপজেলার শিবগঞ্জ সদর ইউনিয়নের উত্তর শ্যামপুর গ্রামের মৃত মোজাম মন্ডলের পুত্র কৃষক মোঃ রুহুল আমিন । প্রতিবছরে ন্যায় এবারেও একটু লাভের আশায় শ্যামপুর মাঠে নিজ জমিতে কপি বীজ রোপন করেন। কপির চারাগুলো রোপন করার উপযুক্ত হতেই পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একই গ্রামের নজির উদ্দিনের পুত্র আব্দুল মালেক ও সোহেল রানা গং সুকৌশলে কপি চারা গুলো উপরে ফেলে নষ্ট করে ফেলে। এঘটনায় গতকাল শনিবার সরেজমিনে শ্যামপুর মাঠে কপি চারা গুলো দেখতে গেলে কৃষক রুহুল আমিন জমিতে কান্নায় জনিত কণ্ঠে বলেন আমার সর্বনাশ হয়েছে। মাঠে কৃষক হায়পত আলী, লাল মিয়া, সোনা মিয়া মত অনেকে বলেন, আমরা কৃষক মানুষ, কপি চারা গুলো তৈরি করতে যে কত কষ্ট, এই কষ্টে চারা গুলো যদি কেউ নষ্ট করে এত বড় কষ্টের চাইতে আর কি আছে। রুহুল আমিন জমি তৈরি করে নিয়েছে কপি চারা রোপন করা জন্য। কিন্তু গত শনিবার সকালে চারা জমিতে এসে দেখা যায় সমস্ত কপি চারা গুলো উপরে ফেলা হয়েছে। আজ রুহুলের ক্ষতি করলো, কাল আমাদের করবে না তা নিশ্চায়তা আছে কি? আমরা গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে কপি চারা উপরে ফেলা ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে দেশের প্রচালিত আইনে মাধ্যমে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার। বিয়ষটি নিয়ে হতভাগা কৃষক রুহুল আমিনের সাথে যোগাযোগ করলে, তিনি বলেন আমাদের গ্রামে আব্দুল মালেক ও তার জামাই সোহেল রানা গং আমার কপি চারা গুলো উপরে ফেলে আমার সর্বনাশ করেছে। আমি তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করবো। শুধু কপি চারায় নয় ওরা আমার ২ বিঘা জমি ধার দিয়ে কলাগাছ লাগিয়ে ধারে কপি চারা গুলো নষ্ট করে ফেলেছে। তাদের কলা জমির ধার দিয়ে পায়ে চলাচলে জায়গায় রাখেনি। জমির উত্তর পার্শ্বে জমি মালিকরা অনুরূপ কাজ করেছে। আমি ওদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করবো। উক্ত ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মেহেদী হাসান খোকন, কপি চারা গুলো পরিদর্শন করতে এসে বলেন, এ কোন ধরনের অপরাধ যারা করেছে তাদের বিচার হওয়ার দরকার। রুহুল আমিনের ফসলের সাথে এধরনের শত্রুতা করাটা তাদের ঠিক না । সরল মানুষ দেখে তার উপর এত অত্যাচার কেন, আপনারা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেন, আমি আপনাদেরকে সহযোগিতা করবো, আমার নিকট অপরাধীদের কোন স্থান নাই। ফসলের সাথে কাহারো শত্রুতা করাটা ঠিক না।