শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি:
বগুড়ার শেরপুরে সরকারি জায়গা দখল করে স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করছে কিছু ব্যক্তি। এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশ করার কারণে এক সাংবাদিককে মুঠোফোনে হত্যার হুমকী দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বুধবার(২৮ আগস্ট) রাতে শেরপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়। এদিকে সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিককে হত্যার হুমকী দেয়ার ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করেন এবং অনতিবিলম্বে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার(২৭ আগস্ট) কয়েকজন স্থানীয় গনমাধ্যমকর্মী শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে ফলপট্টি এলাকায় সরকারি জায়গায় দখল করে স্থায়ী ঘর নির্মাণ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের জন্য যান। সেখানে স্থানীয় জনগণের তথ্যের ভিত্তিতে “শেরপুরে সরকারী জমি দখল করে স্থাপনা নির্মান” শিরোনামে একটি সংবাদ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সেই সংবাদে জায়গা দখলে জড়িত স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির সাথে নাম উঠে আসে। এর জের ধরে গত বুধবার সন্ধ্যায় উজ্জল ঘোষ (৩০) নামে এক যুবক শেরপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিন পত্রিকার বগুড়া জেলা প্রতিনিধি দীপক কুমার সরকারকে ফোন করেন। সে সময় উজ্জল ঘোষ নামের ওই ব্যক্তি মাহবুবুল আলম হিরুর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করার কথা উল্লেখ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
এক পর্যায়ে তিনি ওই সাংবাদিক দীপক কুমার সরকারকে জবাই করে হত্যার হুমকী দেন। উজ্জল ঘোষ নামের ওই যুবক বলেন, আমি ইতোপূর্বে ১৪ মামলাটি খেয়েছি, তোকে মারলে কি এমন হবে !
এছাড়াও তিনি শহরের এক সাংবাদিকের ভাতিজা বলে পরিচয় দেন। এর আগে অভিযুক্ত উজ্জল ঘোষ শহরের গোশাইপাড়ার মৃত বলাই মহন্তের ছেলে হৃদয় মহন্ত(ঘুতু)কে ছুরিকাঘাত করে। এবং শহরের ঘোষপাড়ায় বকুল মহন্তের দোকান ভাংচুর ও তার ছেলেকে মারধর করে হত্যার জন্য ছুরি নিয়ে তাড়া করে। এছাড়াও একাধিক ব্যক্তি ও যুবককে হুমকী-ধামকি সহ মারধরের অভিযোগ শেরপুর থানায় রয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে সাংবাদিক দীপক কুমার সরকার বলেন, আমরা সরেজমিনে স্থানীয় জগণের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছি। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের স্থানীয় প্রশাসনের বক্তব্যও গ্রহণ করা হয়েছে। এতে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে প্রতিবাদ জানাতে পারেন। এমনকি আইনের আশ্রয়ও নিতে পারেন। কিন্তু সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে হত্যার হুমকী দেওয়া উদ্বেগজনক। আমরা স্থানীয় সাংবাদিকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ প্রসঙ্গে শেরপুর বাসস্ট্যান্ড ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হিরু বলেন, আমি কাউকে হুমকী দেওয়ার জন্য বলি নাই। কেউ যদি আমার নাম উল্লেখ করে হত্যার হুমকি দিয়ে থাকে, তা দুঃখজনক। এ বিষয়ে আমার কোন দায় নেই।
এ বিষয়ে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) রেজাউল করিম রেজা বলেন, মোবাইল ফোনে হত্যার হুমকী সংক্রান্ত বিষয়ে সাংবাদিক দীপক কুমার সরকার একটি জিডি করেছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখছি, সার্বিক বিষয়ে তদন্তপূর্বক আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।