মিন্টু ইসলাম:
ষষ্ঠ ইউনিয়ন পরিষদের চতুর্থ ধাপের নির্বাচন শেষ হয়েছে গত ৫ জুন। বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান(সংরক্ষিত) পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জনসহ মোট ৮ জন প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
বগুড়া জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান জানান, নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী মোট প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ পেতে ব্যর্থ হলে পরাজিত প্রার্থীরা তাদের জামানত ফিরে পাবেন না। শেরপুর উপজেলায় মোট দুই লাখ ৯৩ হাজার ২৭৩ জন ভোটার। এর মধ্যে এ উপজেলায় মোট বৈধ ভোট পড়েছে ৮১ হাজার ৯২৬টি। ভোটের হার ২৮ দশমিক ৯২ শতাংশ। বিধি অনুযায়ী প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ অর্থাৎ ১২ হাজার ৭২৪ ভোট পেতে হবে। সেক্ষেত্রে চেয়ারম্যান প্রার্থী এম এ হান্নান (১৭৪১ ভোট), জাকারিয়া তারেক বিদ্যুৎ (৭৪৬ ভোট) ও রুবেল আহমেদ (৫০৮ ভোট) পাওয়ায় তাদের জামানত ফিরে পাচ্ছেন না।
ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বিধান কুমার ঘোষ (৭৪৭৩), সাইফুল বারী ডাবলু (৭৩৮৯) ও সাদ্দাম হোসেন (৫২৩০) এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ফিরোজা খাতুন (১০,৫৯১) জামানত হারাবেন।
এব্যাপারে শেরপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা মো. জাকির হোসেন জানান, ফলাফলের গেজেট প্রকাশ হওয়ার পর এক মাসের মধ্যে প্রার্থীদের নির্বাচনি ব্যয়ের রিটার্ন জমা ও জামানত ফিরে পেতে রিটার্নিং অফিসারের কাছে আবেদন করতে হবে। যারা বিধি অনুযায়ী ১৫ শতাংশ ভোট পাননি তারা তাদের জামানত ফিরে পাবেন না।