এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে, রমরমা ভাবে চলছে অবৈধভাবে গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা। যত্রতত্র ভাবে এ ব্যবসা চলায় ঝুঁকির মুখে রয়েছে সাধারন মানুষের জীবন। তবে এ ব্যবসা দিনদিন বৃদ্ধি পেয়ে পানের দোকানে গ্যাসের সিলিন্ডারের ব্যবসা বিস্তৃতি হলেও হাট বাজারের দোকানে কোন তদারকি না থাকায় বেপোরোয়া হয়ে উঠেছে এ ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১২ ইউনিয়নের সব হাট-বাজারেই অবৈধভাবে গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা চলছে। হাত বাড়ালেই যে কোন সময় গ্যাস সিলিন্ডার পাওয়া যায় দোকান থেকে। এমনি উপজেলার চরাঞ্চলের হাটে-বাজারে পাওয়া যাচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ গ্যাস সিলিন্ডার। বিক্রির কোন নিয়ম-নিতি জানেনা এসব গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসায়ীরা। বিক্রিতে কোন আগঢাক নিয়মনীতি মানছে না তারা। রড-সিমেন্ট ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে মুদি দোকানদার এমনকি পানের দোকানেও পাওয়ায় যায় বিভিন্ন কোম্পানির গ্যাস সিলিন্ডার। এমন একজন ব্যবসায়ীর সাথে কথা হয় গতকাল সকালে।
এ ব্যবসায়ী হলেন নিজ বলাইল বাজারের ইসমাইল হোসেন তোহার সাথে, তিনি এ সময় বলেন, এরকম ব্যবসাতো সব জায়গায় সবাইতো করছে, আমি করলে দোষ কিসের? তাছাড়াও মামার লাইসেন্স এর আদলে এ ব্যবসা করে থাকি। আমি তার গ্যাস সিলিন্ডার গুলো বিক্রি করে থাকি মাত্র। তাছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স নেওয়া আছে আমার। আমি অবৈধভাবে গ্যাসের বোতল মজুত বা ব্যবসা করছিনা। আপনারা আমার মামা মমিনের সাথে যোগাযোগ করেন। সারিয়াকান্দি পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বিস্ফোরক অধিদপ্তর বা ডিসি অফিসের কোনো লাইসেন্স নেই। তবে পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে গ্যাস সিলিন্ডার সহ সকল ব্যবসা চালিয়ে আসছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ইনচার্জ মো: মাসুদ পারভেজের সাথে যোগাযোগ করা হলে বলেন, উপজেলায় গ্যাস সিলিন্ডারের অবৈধভাবে ব্যবসা চলছে তা আমাদের জানা আছে। যদিও এটি সরকারি নিয়ম মেনে চলা উচিত। কিন্তু তা কেউই মানছে না, সাধারণে জন্য ঝুকিপূর্ণ জেনেও যত্রতত্র ভাবে এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন কিছু ব্যবসায়ী। আমরা অবৈধ ব্যবসায়ীদের বার বার সতর্ক করে দিয়েছি।
