এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টার
বগুড়া পৌরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের টাইলস মিস্ত্রি ওয়াজেদ হোসেন ঝন্টুর হত্যাকারীদের সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। সোমবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে শহরের সাতমাথা চত্বরে ২১নং ওয়ার্ডের সর্বস্তরের জনসাধারন এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বক্তব্য রাখেন নিহত ঝন্টুর বাবা আফজাল প্রামানিক, মা রাজিবা খাতুন, স্ত্রী কুলছুম খাতুন, ভাই সজীব, বোন, ফাতেমা, ফুফু জুলেখা, এলাকাবাসী রফিকুল ইসলাম, রুপালী, রুল মনি, সাজু, সুমন, সোহাগ, বিপুল, রায়হান, রাবেয়াসহ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, যারা ঝন্টুকে হত্যা করেছে তারা একই এলাকার চিহিৃত সন্ত্রাসী, মাদক জুয়া ও ভূমি দখলসহ নানা ধরনের অসামাজিক কাজের সাথে জড়িত। বিনা কারণে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। চ্যান্দা মাসুদ ও ক্যালা রহমান হুকুমে মোমিনুর হোসেন, কবির হোসেন, আয়নাল শেখ, আব্দুর রহমান, রবিউল, কালাম, রানা, সাইফুলসহ আরো ৫/৬ জন হত্যাকারীর আমরা সুষ্ঠু বিচার চাই। আমরা আর কোন ভাইকে হারাতে চাই না। অবিলম্বে সকল হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে সুষ্ঠু বিচার ও ফাঁসির দাবি জানান তারা।
এ ঘটনায় নিহত ঝন্টুর পিতা আফজাল প্রামানিক গত ৪ সেপ্টেম্বর ৮ জনকে আসামী করে বগুড়া সদর থানায় মামলা করেন। মামলায় উল্লেখিত আসামীরা হলেন-একই এলাকার মোমিনুর হোসেন পিতা-খলিলুর রহমান, কবির হোসেন পিতা-মৃত হোসেন আলী, আয়নাল শেখ পিতা-আতর আলী, আব্দুর রহমান পিতা-ইউসুফ আলী শেখ, রবিউল পিতা-নুর আলম আকন্দ, কালাম পিতা ইউসুফ আলী শেখ, রানা পিতা-অজ্ঞাত, সাইফুল খাঁ পিতা-কোরমান খাঁসহ আরো অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন।
উল্লেখ্য, গত ৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৯ টার সময় বগুড়ার ভাটকান্দি এলাকায় হোটেলে খেতে গিয়ে ওয়াজেদ হোসেন ঝন্টু টাইলসমিস্ত্রী খুন হয়। ৩০ বছরের ঝন্টু ভাটকান্দি পশ্চিম পাড়া এলাকার আফজাল হোসেনের ছেলে। সকালে ঝন্টুসহ তিনজন এলাকার হোটেলে যান খিচুড়ি খেতে। এ দুজনের একজনের নাম মমিন। খিচুড়ি খেতে গিয়ে নিজেদের মধ্যে কোনো বিষয়ে দ্বন্দ্বে ঝন্টুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেন নারুলী ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মাহমুদ হাসান। তিনি জানান, সকালে হোটেলে ঝন্টুর সাথে তারাও নাসতা খাওয়ার জন্য হোটেলে এসেছিল।
এরপর খাওয়া চলা অবস্থায় তাকে কুপিয়ে হামলা করা হয়। পরে স্বজনেরা ঝন্টুকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। মাহমুদ হাসান আরো জানান, হত্যাকান্ডে পূর্ব শত্রুতার জের রয়েছে। এরা সবাই একসাথে কাজ করে। আবার এদের মধ্যে বালু ব্যবসাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝামেলাও আছে।।
