এম,এ রাশেদ,স্টার রিপোর্টারঃ
বগুড়ার ধুনটে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত কৃষক আলমগীর হোসেন ও আহত ০৬ ঘটনায় ১৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।মামলার ২ আসামীকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন উপজেলার গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব গুয়াডহরী গ্রামের সোহরাব আলীর ছেলে মিলন মিয়া (২৭) ও আব্দুস সামাদের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪৩)। গত বুধবার মধ্যরাতে সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে।
জানা যায় গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব গুয়াডহুরি গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ও এক নবজাতকের ভূমিষ্ঠ হওয়ার খুশিতে মিষ্টি বিতরণ নিয়ে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে আলমগীর হোসেন (৪৫) নামে এক কৃষক মৃত্যু হয়। কৃষক আলমগীর একই গ্রামের মহির উদ্দিনের ছেলে।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত আলমগীর হোসেনের বড় ভাই জাহাঙ্গীর হোসেনের নাতনির জামাই সবুজ মিয়ার পরিবারের সঙ্গে তাদের পূর্ব থেকেই বিরোধ চলছিল। তিন দিন আগে জাহাঙ্গীরের ছেলের স্ত্রী একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। এ খুশিতে মঙ্গলবার বিকালের দিকে জাহাঙ্গীরের মেয়ে ০৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা শাবনুর বাদশার বাড়িতে মিষ্টি নিয়ে যান।
কিন্তু বাদশার মিয়ার পরিবারের লোকজন মিষ্টি না নিয়ে অন্তঃসত্ত্বা শাবনূরকে মারধর করে। সংবাদ পেয়ে আলমগীর হোসেন ও জাহাঙ্গীর হোসেন তাদের পরিবারের লোকজন নিয়ে বাদশার বাড়িতে যান। এতে বাদশার মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে আলমগীর হোসেনসহ ৬ জনকে পিটিয়ে আহত করে।
পরে স্থানীয় লোকজন আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে প্রথমে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। সেখানে আলমগীর ও জাহাঙ্গীরের অবস্থার অবনতি হলে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১২টার সময় আলমগীর হোসেনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সাজেদা বেগম বাদি হয়ে ১৩ জনকে আসামী করে ধুনট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রবিউল ইসলাম জানান,কৃষক আলমগীর হত্যার মামলার মামলার এজাহারভুক্ত আসামী হিসেবে মিলন মিয়া ও শহিদুল ইসলাম কে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে। হত্যা মামলার অন্য আসামীদের গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চলছে।