শেরপুর(বগুড়া)প্রতিনিধি:
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার শেরুয়া বটতলা বাজারে সড়কের দু’পাশে প্রশস্ত ফুটপাত অবৈধভাবে দখল করে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন দোকানপাট। ফলে ফুটপাত ও রাস্তা দিয়ে হাঁটতে স্কুল কলেজগামী শিক্ষারথীসহ পথচারীরা নানা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে। রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। সব সময় যানজট লেগেই আছে, ভোগান্তি বাড়ছে পথচারীদের। এতে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। এ ব্যাপারে শেরপুর উপজেলা অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের শেরুয়া বটতলা ভায়া ভবানীপুর রোডের মৎস্য অফিস পর্যন্ত সড়কের দুপাশে পুরো ফুটপাত দখল করে বিভিন্ন ভাজিপুরির হোটেল, কাঁচামাল-সবজি দোকানসহ নানা ধরনের দোকানপাট বসেছে।
স্থানীয়রা জানান, ফুটপাথ দখলে থাকায় সড়কের ওপরে সব সময় সিএনজি, ভ্যান, রিকশা ও ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক চলতে যানজটের শিকার হয়। অবৈধভাবে গড়ে উঠা এসব দোকানপাটের কারণে এমনিতেই রাস্তা সংকুচিত হয়ে গেছে, তার ওপর এসব যানবাহনের কারণে এ পথে চলাচল করাই দুঃসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ নিয়ে পথচারী ও চালকদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হচ্ছে অহরহ। প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। অথচ এসব দোকানপাটের জন্য বাজারে রয়েছে নির্দিষ্ট জায়গা। সেখানে তারা বসছে না।
স্থানীয় বাসিন্দা সোহাগ আলী,বেলাল হোসেনসহ একাধিক পথচারী ও শেরপুর উপজেলা চাউল কল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলীমুল রেজা হিটলার জানান, এ এলাকায় বর্তমানে ৫০ টিরও অধিক অটো রাইস মিল ও ডায়ার অটো রাইস মিলসহ বিভিন্ন ধরনের শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে। এ সব রাইস মিলের ধান- চাউল পরিবহনে এ বাজারের স্থানে গাড়ী পারাপারের সময় ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটে আটকে থাকতে হয়। তাছাড়া হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উপমহাদেশের ঐতিহাসিক তীর্থস্থান মা ভবানীপুর মন্দিরের যাতায়াতের রাস্তাও এটি। এই এলাকার হাতিগারা নামক স্থানে একটি বিনোদন পার্ক রয়েছে। এই পার্কে যাতায়াতের রাস্তাও এটি।
অভিযোগ আছে, রাস্তার দুই পাশের নির্মানাধীন মার্কেটের মালিক ও পজিশান ভাড়াটিয়ারা এসব অবৈধ দোকানপাটের সুবিধাভোগী।
মার্কেটের পজিশনের ভাড়াটিয়ারা তাদের সামনের সরকারি রাস্তা দিনে ৫০ থেকে ১০০ টাকা হারে ভ্রাম্যমাণ দোকানদারদের ভাড়া দেয়। শেরুয়া বটতলা বাজার কমিটির সভাপতি আব্দুল বারী মির্জা ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম মিন্টুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, এসব অবৈধ ফুটপাত দখলকারী ব্যবসায়ীদের বার বার নোটিশ দিলেও তারা কোন কর্ণপাত করে না। এ ব্যাপারে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক খানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
