শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার শেরপুরে শয়নকক্ষ থেকে নুসরাত জাহান মিলা (১৭) নামের এক কিশোরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে এবার এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিল বলে জানা গেছে। রবিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের বিরইল যমুনাপাড়ায় নিজ বাড়ির শয়নকক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নুসরাত জাহান মিলা উপজেলার বিরইল গ্রামের নাজিমুদ্দিনের মেয়ে। সে শহরের শেরপুর শেরউড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।
পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, নুসরাতের বাবা নাজিমুদ্দিন চাকরির সুবাদে ঢাকায় থাকেন। মা সুফিয়া বেগমও দুদিন আগে নাটোরে বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান। তাই দাদির সঙ্গে বাড়িতে ছিল নুসরাত। প্রতিদিনের ন্যায় রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন তারা। কিন্তু রবিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ঘুম থেকে জেগে না ওঠায় দাদি তাকে অনেক ডাকাডাকি করেন। এরপরও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘটনাটি প্রতিবেশীসহ আশপাশের লোকজনকে জানানো হয়। পরে তারা এসে শয়নকক্ষের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন। এ সময় নুসরাতকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে শেরপুর থানায় সংবাদ দেন। পরবর্তী সময়ে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, কয়েক মাস আগে নুসরাতের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের এক যুবকের পরিচয় হয়। সেই সূত্রে প্রথমে প্রেম এবং পরবর্তী সময়ে পরিবারকে না জানিয়ে বিয়ে করেন তারা। কিন্তু কিছুদিন ধরে তাদের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। এমনকী উভয়ের যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। তবে ঘটনার রাতে মোবাইল ফোনে তাদের মধ্যে কথা হয়। একপর্যায়ে ফোনে কথা-কাটাকাটিও হয়। সকালে নিজ কক্ষ থেকে নুসরাতের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শেরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নুসরাত পারিবারিক কলহে ও অভিমানে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।।