বগুড়া জেলা প্রতিনিধি:
বগুড়ার শেরপুরের খানপুর ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামে তিন বিঘা জমি দখল করতে না পেরে জমিত লাগানো গাছের চারা রাতের অন্ধকারে ভেঙ্গে ডোবা ও ধান ক্ষেতের বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেওয়ার অভিযোগে মংলা বক্স ফকির (৫০),সোহরাব ফকির (৬৫), নজরুল ফকির (৩৮) ও লুৎফর রহমান ফকির (৪৩) এর বিরুদ্ধে মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় শেরপুর প্রেসক্লাব বাসষ্ট্যান্ড কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেছে উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামের মৃত রোস্তম আলী ফকিরের মোঃ আব্দুল কূদ্দুস ফকির।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আব্দুল কুদ্দুস ফকির বলেন, গোপালপুর মৌজা জেএল নং ১৪৫, সিএস খতিয়ান নং ২৩০/৫৪৫, এস এ খতিয়ান নং ৬২৮/২৬৭ সাবেক দাগ নং ৫৩৯০, হাল দাগ নং ১০৭৭৮, ১০৭৭৯, ১০৭৮১ জমির পরিমান ১ একর ৩৭ শতক কাতে ১ একর যাহা আমি পৈত্রিক ও কবলা সুত্রে প্রাপ্ত হইয়া খাজনা খারিজ সম্পন্ন করিয়া ভোগদখল করিয়া আসিতেছি।
সেই জমির ভুয়া মালিকানা দাবী করে জমি দখলে চেষ্টা করে আসছে। জমিদখল করতে তারা নানা ভাবে কুদ্দুস ফকির কে ভয়ভীতি ও হুমকি ধামকি দেন প্রতিপক্ষের মংলা বক্স ফকির ও সোহরাব ফকিররা।
এ বিষয় নিয়ে জমির প্রকৃত মালিক ও প্রতিপক্ষের মধ্যে আইনজীবী ও থানা পুলিশের মাধ্যমে বেশ কয়েকবার সালিশী বৈঠক হয়। এসব বৈঠকের সিদ্ধান্ত জমির প্রকৃত মালিক কুদ্দুস ফকিরের পক্ষে বলবৎ থাকে।
এদিকে জমির মালিক তার দখলকৃত ৩ বিঘা জমিতে গত ২৫ সেপ্টেম্বর রোববার সকালে বনজ ও ফলোজ গাছের বিভিন্ন জাতের প্রায় ৭৫০ টি চারা রোপন করেন।
সোমবার ২৬ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতের কোন এক সময়ে প্রতপক্ষরা তিন বিঘা জমিতে লাগানো গাছের চারা ভেঙ্গে ফেলা এবং উপড়ে ফেলে। তাই আপনাদের মাধ্যমে সঠিক তথ্য প্রশাসনসহ সকলকে জানাতে চাই এবং এর সুষ্ঠ বিচারের দাবি জানাচ্ছি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আরব আলী, আব্দুল রাজ্জাক, জাহিদুল ইসলাম, আব্দুল মমিন, মেহেদী হাসান মজনু, এনামুল হক।
এ ঘটনায় ২৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকালে কুদ্দুস ফকির বাদি হয়ে প্রতিপক্ষ মংলা বক্স ফকির, সোহরাব ফকির, নজরুল ফকির ও লুৎফর রহমান ফকিরের বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ প্রসঙ্গে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আতাউর রহমান খোন্দকার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
