বগুড়া জেলা প্রতিনিধি:
আমরা শেরপুর টাউন ক্লাব পাবলিক লাইব্রেরী মহিলা কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য ও শিক্ষকবৃন্দ সাংবাদিক সম্মেলনে হাজির হয়ে অত্যন্ত মর্মাহত চিত্রে বলছি যে, সাময়িক বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ এ. কে. এম. নূরুল ইসলাম গতকাল ২৩/০৯/২০২২ইং তারিখ শুক্রবার বগুড়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে অত্র কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি জনাব আলহাজ্ব মো: মজিবর রহমান মজনু সাহেবের বিরুদ্ধে যে বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন তাহা সম্পন্ন মনগড়া, মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত সাময়িক বরখান্তকৃত অধ্যক্ষ যাঁর বিরুদ্ধে বক্তব্য প্রদান করেছেন তিনি (আলহাজ্ব মো: মজিবর রহমান মজনু) একজন বিদ্যানুরাগী মানুষ। তিনি শেরপুরে নারী শিক্ষা প্রসারের কথা বিবেচনা করে নিজের অর্থায়নে নিজ নামে একটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। শুধু তাই নয় তিনি শেরপুর টাউন ক্লাব পাবলিক লাইব্রেরী মহিলা কলেজও প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি এই কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। তিনি কলেজের নিজস্ব অর্থায়নে দুটি দৃষ্টি নন্দন বহুতল ভবন নির্মাণ করে শেরপুরে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এছাড়াও তিনি উলিপুর আমিরিয়া সমতুল্লা ফাযিল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাসহ শেরপুরে বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে তাঁর অবদান রয়েছে। তথাপিও সে (সাময়িক বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ এ.কে.এম নূরুল ইসলাম) সভাপতির বিরুদ্ধে যে মিথ্যা অভিযোগ উপস্থাপন করেছেন আমরা তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। প্রকৃত পক্ষে তার সীমাহীন অনিয়ম, দুর্নীর্তি আড়াল করার জন্য সে কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন। তিনি কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে কলেজের অর্থ আত্মসাৎ, সীমাহীন অনিয়ম, দুনীর্তি করায় গত ১০/০৭/২০১৯ইং তারিখে গভর্নিং বর্ডির সভায় ৫(পাঁচ) সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে তার যোগদানের তারিখ ০৮/১১/২০১৮ইং তারিখ থেকে ৩০/০৬/২০১৯ ইং তারিখ পর্যন্ত ০৮ (আট) মাসের আর্থিক খাতের তদন্ত করে তদন্ত কমিটি দেখতে পায় সে আয়কৃত টাকার মধ্যে ১১,৪৬,২৪৯/ (এগার লক্ষ ছেচল্লিশ হাজার দুই শত উনপঞ্চাশ) টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। তদন্ত রিপোর্ট দাখিলের পর গভর্নিং বডির সভায় তাকে ২৬/০৬/২০২১ ইং তারিখে কারন দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়।