স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের নবনিযুক্ত বিচারপতি মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম শাহীন বলেছেন, স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা কায়েম ও বিচার বিভাগের মর্যাদা রক্ষায় সবাইকে এক সাথে কাজ করতে হবে। বিচারপ্রার্থীদের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে হবে। কিন্তু আজো বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করতে হয়, কিন্তু কেন ? তিনি আইনজীবিদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা বিচারকদের ঘুষ দেবেন না। কারন আপনি ঘুষ দেন বলেই বিচারক নেন। তিনি আরো বলেন, দেশ থেকে ২৮লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। এই টাকা ফিরিয়ে আনতে হবে। দেশের রাস্তা , ঘাট, ব্রিজ কালভার্ট সহ উন্নয়ন কাজের জন্য টাকা দরকার। আমি একজন নাগরিক হিসেবে এটা আমার দাবী। আপনারা পড়াশুনা করবেন ।
জানার কোন বিকল্প নেই। তাতে একজন দক্ষ আইনজীবি হতে পারবেন। কথায় কথায় কোর্ট বর্জন করবেন না। বার ও বেঞ্চ এর মধ্যে সৃসম্পর্ক রাখবেন। আমি বগুড়ার একজন মানুষ হিসেবে যতটা সম্ভব সবকিছু করব। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন যেন সমাজের অবহেলিত ও বঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করতে পারি। তিনি ১৬ই সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে বগুড়া জেলা অ্যাডভোকটস বার সমিতির সদস্যদের সাথে শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বার সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান খান মুক্তা’র সভাপতিত্বে এবং পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল বাছেদ এর পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন জেলা ও দায়রা জজ মোঃ শাহজাহান কবির, চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট তাসনিকুর ইসলাম, গভর্ণমেন্ট প্লিডার (জিপি) শফিকুল ইসলাম টুকু, সিনিয়র আইনজীবি অ্যাডভোকেট একেএম হাফিজুর রহমান ও অ্যাডভোকেট একেএম মাহাবুবর রহমান, বার সমিতির সাধারন সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম প্রমূখ। সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশেষ জজ সহ বিভিন্ন আদালতের বিচারকবৃন্দ ও আইনজীবিগণ। অনুষ্ঠানে বিচারপতি আনোয়ারুল ইসলাম শাহীনকে বার সমিতির পক্ষ থেকে ক্রেষ্ট ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
বগুড়ার কৃতি সন্তান, সুপ্রিম কোর্ট অব বাংলাদেশ হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম শাহীনকে বগুড়া জেলা অ্যাডভোকেট বার সমিতি আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান
অতিথির বক্তব্য রাখছেন।

