এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টার,
বগুড়া জেলার শাজাহানপুর উপজেলায় বিএনপি দল করতে গিয়ে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারকারী হলেন মোঃ আরমান মন্ডল।
বর্তমানে তিনি উপজেলা বিএনপির সহ-ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক এবং মাঝিড়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বিগত আওয়ামী শাসনামলে ‘হাসিনা বিরোধী’ আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় থাকার কারণে হামলা-মামলায় নির্যাতিত হলেও জাতীয়তাবাদের আদর্শ থেকে তিনি একটুও পিছু হটেননি। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন, এবং দলের প্রতিটি দুঃসময়ে তিনি ছিলেন অটল ও অবিচল।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম, গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি তার অগাধ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা তাকে একটি স্পষ্ট রাজনৈতিক দর্শনের ধারক হিসেবে গড়ে তুলেছে।
বিগত আওয়ামী শাসনামলে বিএনপির রাজনীতি করতে গিয়ে তিনি ১৮টি মিথ্যা মামলায় ৩ বার কারাবন্দী হয়েছেন। আওয়ামী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে ২০২৪ সালের ১৭ জুলাই উপজেলার মাঝিড়াস্থ নিজ বাড়ি থেকে গণঅভ্যুত্থান চলাকালে গ্রেফতার হন তিনি। ৫ আগস্ট স্বৈরশাসক হাসিনার পলায়নের পর, নির্বাহী আদেশে ৬ আগস্ট মুক্তি পান বিএনপির এই নেতা।
এক সাক্ষাৎকারে বিএনপি নেতা মোঃ আরমান মন্ডল বলেন,
“দলের দুর্দিনে আন্দোলন-সংগ্রামে সব সময় মাঠে থেকেছি। এজন্য মিথ্যা মামলায় বেশ কয়েকবার গ্রেফতারও হয়েছি। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, তবুও জাতীয়তাবাদের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হইনি।”
মোঃ আরমান মন্ডল মতো নেতারাই রাজনীতিকে শুধু প্রতিপক্ষবিরোধী আন্দোলন নয়, বরং আদর্শ-নিষ্ঠ সংগ্রামের রূপ দেন। তার জীবন ও সংগ্রাম একদিন প্রেরণার বাতিঘর হয়ে উঠবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে, ইনশাআল্লাহ।

