দৈনিক প্রাণের শহর বিডি ডেস্ক”
শবে বরাত এর এই রাতে ইবাদত-বন্দেগী করা নির্ভরযোগ্য হাদিস দ্বারা প্রমাণিত!
তাই রাসুল ﷺ ও সাহাবা-তাবেয়িনের যুগ থেকে অদ্যবধি এ রাতে বিশেষভাবে নফল ইবাদত ধারাবাহিকতার সাথে চলে আসছে!
ইদানিং আহলে হদসরা [বাংলায়] হাদীস পড়া ছাড়া যাদের কুরআন-হাদিসের আবশ্যিক কোনো জ্ঞান নেই।
তারা নিজেদের অতিগবেষণার মাধ্যমে ইসলামের সুপ্রমাণিত বিষয়গুলোকে জনসাধারণের মাঝে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছে।
তারা শবে বরাত কে অস্বীকার করে
এ রাতে ইবাদত করা বিদআত ইত্যাদি বলে!
অথচ শবে বরাত সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হওয়ার পরও বিদআত বলাটা হাদিস সম্পর্কে অজ্ঞতার পরিচায়ক!
যাইহোক,
এবার আহলে হদস [নাপীত] তাদের ইমাম দেখুন শবে বরাত সম্পর্কে কি বলে!
শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহঃ বলেন:
وأما ليلة النصف فقد روي في فضلها أحاديث وآثار ونقل عن طائفة من السلف أنهم كانوا يصلون فيها فصلاة الرجل فيها وحده قد تقدمه فيه سلف وله فيه حجة فلا ينكر مثل هذا
শবে বরাতের রাত সম্পর্কেনবিভিন্ন হাদিস ও আছারে এর ফজিলত বর্ণিত হয়েছে এবং সালাফদের একটি জামাত থেকেও বর্ণিত হয়েছে যে তারা এ সময় সালাত আদায় করতেন!
সুতরাং, এই সময় একা একজন ব্যক্তির সালাত আদায় করা যেমনটি সালাফদের অনেকেই করেছেন তা জায়েয এবং আমাদের এ জাতীয় আমলকে অস্বীকার করা উচিত নয়!”
তথ্যসূত্র: [মাজ’মাউল ফাতাওয়া] (২৩/১৩২)
.
ইবনে রজব হাম্বলি রহঃ–
লতায়েফুল মাআরিফের ১৬১ নম্বর পৃষ্টায় বলেছেন:
«وليلة النصف من شعبان كان التابعون من أهل الشام كخالد بن معدان ومكحول ولقمان بن عامر وغيرهم يعظمونها ويجتهدون فيها في العبادة، وعنهم أخذ الناس فضلها وتعظيمها»
শবে বরাতের রাত কে খালেদ বিন মা’দান, মাকহূল ও লোকমান বিন আমেরসহ শামের অন্যান্য তাবেয়ীগণ সম্মান জানাতেন এবং এতে ইবাদতের প্রতি মনোনিবেশ করতেন। লোকজন শবে বরাতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও এর ফজিলত তাদের কাছ থেকেই গ্রহণ করেছেন!
মোটকথা: শবে বরাত নিয়ে আমরা বাড়াবাড়ি ছারাছারি কোনটাই করবো না,
-যেমনটা করে থাকে লা মাযহাবিরা তারা শবে বরাত কে অস্বীকার করে,
আর বেরেলভি-মাজারিবা শবে বরাত নিয়ে বাড়াবাড়ি করে
আর আমরা দুটার একটাও করবো না, আমরা এক্ষেত্রে মধ্যেপন্থা অবলম্বন করবো!
এ রাতে যতটুক পারা যায় নফল নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত, জিকির, তাওবা ইস্তেগফার করতে পারি আমরা!
আল্লাহ সবাইকে আহলে হাদেছ নামক আমলচোরও ফিতনাবাজদের ফিতনা থেকে উম্মতে মুসলিমাহকে হেফাজত করুন আমিন!

