দৈনিক প্রাণের শহর বিডি ডেস্ক:
ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ৬টি সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদন ইতোমধ্যে জমা দিয়েছে যেগুলো অনলাইন ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। কমিশনগুলো বিভিন্ন পর্যায়ে সংস্কারের পক্ষে মত দিয়ে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তবে এসব সংস্কার বাস্তবয়েনের জন্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঐকমত্যের প্রয়োজন হবে। এ বিষয়ে ফেব্রুয়ারি মাঝামাঝি রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেওয়া হবে।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি আলোচনা করতে আগ্রহী অন্তর্বর্তী সরকার। তারা রাজি থাকলে রোজার মধ্যেও আলোচনা কন্টিনিউ করব। রাজনৈতিক দলগুলো যে দ্রুত নির্বাচন চান, মনে করি এটা তাদের অধিকার। দ্রুত বলতে কী এটা কিন্তু নির্দিষ্ট করে বলেননি। নির্বাচনের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষে আমাদের প্রেস সচিব বারবার ক্ল্যারিফাই করেছেন। ডিসেম্বর অথবা জুন। জুনের ক্ষেত্রে বর্ষা মৌসুম আরও দু-তিন মাস এগিয়ে এপ্রিল হতে পারে, মার্চে হতে পারে। এটা প্রথম থেকে ক্লিয়ার করা।
তিনি বলেন, পাঁচটা কমিশন আমাদের আশু করণীয় বলেছে। সংবিধান সংস্কার কমিশন কোনো আশু করণীয় বলেনি। সংবিধান সংস্কার কমিশন যে প্রস্তাব দিয়েছেন তা প্রত্যেকটা সংস্কার রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে এটাকে গ্রহণ করা হবে কি, হবে না, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আইন উপদেষ্টা বলেছেন, আইন করতে হলে রাজনৈতিক দলের ঐক্যের প্রয়োজন হবে। তবে কিছু ক্ষেত্রে তা হবে না। আমরা উচ্চ আদালতে আইন করেছি, সেটা নিয়ে কোনো পলিটিক্যাল পার্টি বিরোধীতা করেছে? করে নাই তো। তারপরও এই আইন করার সময় পলিটিক্যাল পার্টির আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, প্রতিবেদনের তিনটি স্ট্রাকচার আছে। একটা হচ্ছে আশু করণীয়, আরেকটা মধ্যমেয়াদি, আরেকটা দীর্ঘমেয়াদি। দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার নির্বাচিত সরকার করবে। আশু করণীয়, এই বিষয়ে আমরা আশা করছি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন আগেই করা হবে। মধ্যমেয়াদি সংস্কার ডিপেন্ড করে রাজনৈতিক দলগুলো কতটুক সংস্কার চায় তার ওপর। মামলার শুনানির ক্ষেত্রে আমরা লিমিট করে দিতে চাচ্ছি।
গত ৫০ বছরের রাজনীতি দলগুলো অনেক বড় বড় ভালো কাজ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা যখন সমালোচনা করি তখন তাদের ভালো কাজগুলো ভুলে যাই। আর প্রতিটা দলেরই সংস্কার ভাবনা আছে।
আইন উপদেষ্টা বলেন, সংস্কারগুলো করার হচ্ছে আমাদের দীর্ঘ সময় ক্ষমতা থাকার জন্য না। এই সরকারের অযথা ক্ষমতায় থাকার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা নাই। আমরা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য, রাষ্ট্র মেরামতের মৌলিক শর্ত পূরণ করার জন্য, রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে যে সংস্কারগুলো অতি জরুরি সেগুলো করার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা চলে যেতে চাই। এতে দ্বিধা দ্বন্দ্বের কোনোরকম অবকাশ নাই।
বিফ্রিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত রয়েছেন।
