এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ
বগুড়া শহরের নিশিন্দারা কারবালায় উক্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার (০৭ই আগস্ট) দুপুরে মানববন্ধনে এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, নিশিন্দারা কারবালা এলাকার বাসিন্দা এরশাদ শেখ এবং তার ছেলে আদর শেখ (২৩) দীর্ঘ দিন থেকে এলাকার মানুষের উপর অন্যায় ভাবে জুলুম নির্যাতন, অন্যের জমি দখল এবং নিজ বাহিনী দ্বারা নিরীহ মানুষকে তুলে নিয়ে গিয়ে শারীরিক নির্যাতনে করে আসছিলেন।
এলাকাবাসীর উপর নির্যাতনের ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার তার ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা আজিজুল হাকিম পিয়াসকে হত্যার উদ্দেশ্য মারধর করে এবং আগ্নেয় অস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মসজিদ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, গাড়ি, সিসিটিভি ও বিদুৎ মিটার ভাংচুর এবং ঘরবাড়িতে হামলা করে মারধর ও পিস্তল দিয়ে গুলি করে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি সাধন করে। উক্ত মানববন্ধনে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী অভিযুক্ত এরশাদ শেখ এবং তার ছেলে আদর শেখসহ তার পালিত সন্ত্রাসী বাহিনীর অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্য সংশ্লিষ্ট আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তা কামনা করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে অর্থনৈতিক লেনদেনকে কেন্দ্র করে মসজিদ, গাড়ি- বাড়িসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনা সূত্রের জানা যায়, গতকাল বগুড়া সদর উপজেলার নিশিন্দারা কারবালা এ লাকার বাসিন্দা এরশাদ শেখ এর ছেলে আদর শেখ (২৩) এবং অজ্ঞাতনামার ছেলে এরশাদ শেখ (৫৫) তার ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী বাহিনী আজিজুল হাকিম পিয়াসকে হত্যার উদ্দেশ্য মারধর করে এবং আগ্নেয় অস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মসজিদ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, গাড়ি, সিসিটিভি ও বিদুৎ মিটার ভাংচুর এবং ঘরবাড়িতে হামলা করে মারধর ও পিস্তল দিয়ে গুলি করে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি সাধন করে।
ভুক্তভুগীর স্ত্রী শ্রবনী আক্তার শিলা (২৫) বগুড়া সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এরশাদ শেখ (৫৫) এবং মোঃ আদর শেখ (২৩) বাদীর স্বামী আজিজুল হাকিম পিয়াস নিশিন্দারা কারবালাতে প্লাষ্টিক কারখানার ব্যবসা করে। উক্ত ব্যবসাকে কেন্দ্র করে বিবাদীদের সাথে তার স্বামীর বেশ কিছু দিন পূর্ব হইতে বিরোধ চলে আসছে। তার স্বামীর ট্রাক ড্রাইভার রাফিউল ইসলামের নিকট হতে ১নং বিষাদী ৩ হাজার টাকা পাওনাদার। গত ০২রা আগস্ট তারিখ রাত্রী আনুঃ সাড়ে ৮টার সময় ১নং বিবাদী রাফিউল ইসলামের নিকট হতে টাকা চায় এবং দেয়ার কথা বলে বিবাদীদ্বয় রাফিউল ইসলামকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজসহ বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে। তখন তার স্বামী বিবাদীদেরকে গালি গালাজ করিতে নিষেধ করিলে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে এলোপাথারী ভাবে কিল ঘুষি, চর-থাপ্পর ও লাথি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাটা-ফুলা, জখম করে মাটিতে ফেলে দেয়। ১নং বিবাদীর হাতে থাকা বাঁশেল লাঠি দ্বারা তার স্বামীকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ্য করে আঘাত করে।
উক্ত আঘাতটি তার স্বামীর মাথার সামনে লেগে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম হয়। বিবাদীদ্বয় তার শ্বশুরের বাড়ীতে গিয়ে ৮টি জানালার গ্লাস, বিদ্যুৎ এর মিটার, ট্রাকের গ্লাস, ১টি সিসি ক্যামেরা ভাংচুর করে প্রায় ১লক্ষ ৫০ হাজার টাকার ক্ষয়-ক্ষতি সাধন করে ভুক্তভোগী বর্তমানে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেয় (শজিমেক) হাসপাতাল চিকিৎসাধীন আছে।