এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ
সরকারের পদত্যাগ, ১০ দফা বাস্তবায়ন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মীর্জা আব্বাস ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীসহ গ্রেফতার সব নেতৃবৃন্দদের মুক্তির দাবিতে বগুড়ায় গণমিছিল ও সমাবেশ করেছে বিএনপি।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে বগুড়া শহরের আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠ থেকে জেলা বিএনপির নেতৃত্বে এ গণমিছিল বের করে। মিছিলটি জলেশ্বরীতলা এলাকা হয়ে নবাববাড়ী রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এর আগে বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে আলতাফুন্নেছা মাঠে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি।
এতে জেলা বিএনপির সভাপতি ও পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি আমানুল্লাহ আমান। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে। তারা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলসহ সিনিয়র নেতাদের জেলে বন্দি করেছে। ভেবেছে যে, বিএনপি বোধহয় নেতৃত্বশূন্য হয়ে গেছে। কিন্তু সরকার বোকার স্বর্গে বাস করছে। আমাদের প্রত্যেক নেতাকর্মী দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।
ইনশাআল্লাহ সবার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনেই এ ফ্যাসিস্ট নব্য স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটবে। ইনশাআল্লাহ আমরা আমাদের নেতা তারেক রহমানের নেতৃত্বে সবাই মিলে এ সরকার পতনের লক্ষ্যে ১০ দফা দাবি আদায়ে রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে থাকব। শেখ হাসিনার সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।
সমাবেশ ও গনমিছিলে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা, বগুড়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদ-উন নবী সালাম, খায়রুল বাশার, জেলা যুবদলের আহবায়ক খাদেমুল ইসলাম খাদেম, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সাইদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী রিগ্যানসহ বিএনপি অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের জেলা ও উপজেলা শাখার কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এদিকে বিএনপির এ কর্মসূচিকে ঘিরে পুরো শহর জুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক অবস্থানে দেখা গেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। মিছিলের সামনে থেকে নিরাপত্তা দেয় পুলিশ।।