https://pranershohorbd.net/wp-content/uploads/2022/09/logo-ps-1.png
ঢাকাTuesday , 25 April 2023
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-বিচার
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া বার্তা
  6. কিশোরগঞ্জ
  7. কৃষি বার্তা
  8. খুলনা
  9. খেলাধুলা
  10. খোলা কলাম
  11. গনমাধ্যাম
  12. গাইবান্ধা
  13. গাজীপুর
  14. চট্টগ্রাম
  15. চাকরি
আজকের সর্বশেষ সবখবর

তাপপ্রবাহে নিম্ন আয়ের মানুষ তাপের তীব্রতার মধ্যে হাবুডুবুর চিত্র

admin
April 25, 2023 3:23 pm
Link Copied!

এম,ডি রেজওয়ান আলী বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি-

দিনাজপুর বাংলাদেশে দীর্ঘ সময় ধরে তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে। এমনই ভাবে দিনাজপুর বিরামপুরে কষ্টের মধ্যে পড়ে আছে খেটে খাওয়া মানুষের কষ্টের চিত্র। আবহাওয়াবিদ সংগঠন সাউথ এশিয়ান মেটিওরোলোজিক্যাল এসোসিয়েশন-এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ন্যাশনাল ওশানোগ্রাফিক অ্যান্ড মেরিটাইম ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড.মোহন কুমার দাশ বলেন,বাংলাদেশে দীর্ঘ সময় ধরে যে তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে তা উদ্বেগজনক।

এবিষয়ে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ড.সমরেন্দ্র কর্মকার বলেন,সারাদেশে যে চরম তাপপ্রবাহ চলছে তা সবার জন্যই বেশ উদ্বেগজনক। কারণ তাপের তীব্রতা এতো বেশি যে তা সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে।

তাপপ্রবাহ দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকলে সেটা স্বাভাবিক নয় বলেও উল্লেখ করেন তারা। ড.মোহন কুমার দাশ বলেন,স্বাভাবিকের একটা মাত্রা আছে। ঐতিহাসিকভাবে দেখা গেছে বাংলাদেশে তাপপ্রবাহ চারদিন থেকে সর্বোচ্চ আটদিন স্থায়ী হয়। বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে যে,সারা দেশেই মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে এবং এটি আরো কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা বলছেন,এই তাপপ্রবাহের কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা বেশ উদ্বেগজনক। এবছর এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে গত ১৭ই এপ্রিল পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। নয় বছর আগে ২০১৪ সালে মারাত্মক তাপপ্রবাহ দেখা গিয়েছিল। সে সময় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। এই মাঝের সময়টা বা গত আট বছরে দেশের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির নিচেই ছিল বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে,বাংলাদেশে তাপমাত্রা ২০শে এপ্রিল পর্যন্ত বাড়বে অর্থাৎ তাপপ্রবাহ থাকবে। শুক্রবার থেকে সারা দেশে তাপপ্রবাহ কিছুটা কমে আসবে। তবে সেটাও ব্যতিক্রম দেখা দিয়েছে। ড.সমরেন্দ্র কর্মকার বলেন,সারাদেশে যে চরম তাপপ্রবাহ চলছে তা সবার জন্যই বেশ উদ্বেগজনক। কারণ তাপের তীব্রতা এতো বেশি যে তা সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে।

তাপপ্রবাহ দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকলে সেটা স্বাভাবিক নয় বলেও উল্লেখ করেন তারা। ড.মোহন কুমার দাশ বলেন,স্বাভাবিকের একটা মাত্রা আছে। ঐতিহাসিক ভাবে দেখা গেছে বাংলাদেশে তাপপ্রবাহ চারদিন থেকে সর্বোচ্চ আটদিন স্থায়ী হয়ে থাকে। বাংলাদেশে গত দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে তাপপ্রবাহ চলছে। বাংলাদেশে দীর্ঘ সময় ধরে তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে। বিশেষ করে দেশের একটি জেলা চুয়াডাঙ্গায় গত দোসরা এপ্রিল থেকে ১৬ই এপ্রিল পর্যন্ত টানা ১৪দিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এটাও উদ্বেগজনক বলে মনে করেন এই আবহাওয়া বিজ্ঞানী। আবহাওয়াবিদ ড.সমরেন্দ্র কর্মকার বলেন,চুয়াডাঙ্গাতে এক দীর্ঘ সময় ধরে একটানা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে। এটা খুব একটা দেখা যায় না। দেশের বেশ কিছু জায়গায় তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রিও ছাড়িয়ে গেছে। এছাড়া গত ১১-১২ দিন ধরে দেশের কোথাও বৃষ্টিও নেই। এর আগে গত ৫ই এপ্রিল সিলেটের শ্রীমঙ্গলে ১৭ মিলিমিটিার বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির বিষয় মি.কর্মকার বলেন,গত ১৪-১৫ দিন ধরে দেখা যাচ্ছে যে,পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে কিছু মেঘ আকাশে আসছে। তবে এটি বিহার উড়িষ্যা ও ঝাঢ়খণ্ডের কাছাকাছি এসে মিলিয়ে যাচ্ছে। তার মানে হচ্ছে বাংলাদেশ বিহার এলাকায় একটি উচ্চচাপ বলয়ের প্রভাব রয়ে গেছে। যার কারণে এখানে কোন ময়েশ্চার ঢুকতে পারছে না। বাংলাদেশ আকারে ছোট হলেও এর আবহাওয়ায় ভীষণভাবে পরিবর্তনশীল। উদাহরণ হিসেবে মি. দাশ বলেন,দেশে মার্চ-এপ্রিল-মে এই সময়টাকে কাল বৈশাখীর মৌসুম বলা হয়। বছরের এই সময়টাতে ঝড়-বৃষ্টি হওয়ার কথা। চলতি বছর এই ঝড়-বৃষ্টি কিছুটা হলেও বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। তবে এপ্রিলের পর থেকে এই চিত্র পাল্টে গিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মে মাসের প্রথম সপ্তাহের শেষ দিকে আবার একটা শুষ্ক আবহাওয়া দেখা যাবে। তারপর ঢুকবে মৌসুমী বায়ু। রাজধানী ঢাকায় গত ১৬ই এপ্রিল তাপমাত্রা ছিল ৪০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি গত ৫৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছিল। তবে ঢাকায় বা শহরাঞ্চলে যে তাপমাত্রা তার তুলনায় এটির অনুভূতি আরো কয়েক গুণ হয় বলে জানানো হয়। ড.মোহন কুমার দাশ বলেন,শহরাঞ্চল যেখানে ইট-কংক্রিটের স্থাপনা বেশি থাকে সেখানে নদী বা জলাশয় আছে এমন স্থানের তুলনায় তাপমাত্রা অনেক বেশি হয়ে থাকে। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন,তাপের কারণে জলাশয় বা পানি বাষ্পে পরিণত হলে সেটি আবার চারপাশে ছড়িয়ে পড়লে তাপমাত্রা কিছুটা কম অনুভূত হয়। একই ঘটনা ঘটে গাছের ক্ষেত্রেও। গাছও শেকড়ের সাহায্যে মাটি থেকে পানি শুষে নিয়ে তার কিছুটা আবার বাষ্পাকারে পাতার মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। ফলে গাছের নিচেও ঠান্ডা অনুভূত হয়। অপরদিকে ইট বা কংক্রিটের অবকাঠামোতে তাপ বা সূর্য্যের কিরণ পড়লে তা শুষে না নিয়ে বরং প্রতিফলন ঘটে তা আবার পরিবেশেই ছাড়া হচ্ছে। একই ঘটনা ঘটছে পিচ ঢালা রাস্তায়ও। যানবাহনের ক্ষেত্রেও এগুলোর বডি বা কাঠামো সূর্য্যের তাপে গরম হচ্ছে,পরে আবার এই তাপ পরিবেশে ছাড়ছে। ফলে ‘ডুয়াল’ বা দ্বৈত প্রভাবের কারণে তাপমাত্রা যাই থাকুক না কেন বাস্তবে তাপমাত্রার অনুভূতি আরো অনেক বেশি হচ্ছে। এছাড়া শহরাঞ্চলে যেভাবে গায়ে গা লাগিয়ে ভবনগুলো নির্মাণ করা হয়েছে, তাতে প্রতিটা ভবন গরম হওয়ার পর সেটি আবার এক সময় তাপ ছেড়ে দেয়। কিন্তু আশেপাশে জায়গা না থাকার কারণে,গাছপালা বা সবুজ না থাকার সেই তাপ শোষিত না হয়ে পরিবেশ ছড়িয়ে পড়ে।
অনুরুপ মরুভূমির উত্তপ্ত বালু সারাদিন গরম হয়ে রাতে হঠাৎ করে যে তাপ ছেড়ে দেয়, দেশেও সেরকম অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া শীতকালে শৈত্যপ্রবাহও দেখা যায়। আবহাওয়ার এসব পরিবর্তনের কারণে দেশে প্রতিবছর আবহাওয়া একই ধরণের আচরণ করে না। তবে এটা জলবায়ুর সাথে সম্পর্কিত নয় বরং এটা আবহাওয়ার সাথে সম্পর্কিত বলেও জানান মি.দাশ। এছাড়া এলনিনো এবং লা-নিনার প্রভাবও দৈনন্দিন আবহাওয়ার উপর পড়ে। এদের মধ্যে একটি সমুদ্রের তাপমাত্রা কমিয়ে দেয়। যার কারণে ঘুর্ণিঝড়ের মতো প্রভাব পড়ে। আরেকটি খরা-বন্যা তৈরি করে। যে বছর যে বিষয়টি

আমাদের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল"প্রাণের শহর বিডি'র জন্য সারাদেশব্যাপী সাংবাদিক নিয়োগ চলছে। আগ্রহীরা অতিসত্বর যোগাযোগ করুন অথবা সিভি পাঠিয়ে দিন। সিভি পাঠানোর ইমেইল Mintuislam59@gmail.com, আমাদের দৈনিক প্রাণের শহর বিডি অনলাইনে সারাদেশের পাঠকরা নিউজ পাঠাতে পারেন" নিউজ পাঠানোর ইমেইল pranershohorbd@gmail.com এ। আমাদের খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।