বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়ার শাজাহানপুরে চাঁদা দাবী ও মারপিটের দায়ে ইট বালু মাটি সিন্ডিকেটের ২ চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের রাজারামপুর গ্রামের ফরিদুল ইসলাম ওরফে ফরিদ খোড়ার ছেলে আব্দুল্লাহ বিন পায়েল (২৪) এবং রেজাউল করিম ফকিরের ছেলে সোহাগ মিয়া (২২)। গ্রেপ্তারকৃত আব্দুল্লাহ বিন পায়েলের নামে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদেরকে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এর আগে গত ৮ মে চাঁদা দাবী ও মারপিটের অভিযোগে রাজারামপুর গ্রামের আব্দুল হাই দেওয়ানের ছেলে জিয়াউল হক দেওয়ান বাদি এজাহার নামীয় ৫জন এবং অজ্ঞাতনামা ৩জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার অপর আসামীরা হলো, গ্রেপ্তারকৃত পায়েলের বাবা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম ওরফে ফরিদ খোড়া (৫০), একই গ্রামের আবু বক্করের ছেলে রাতুল আহমেদ (২৩) এবং সাজেদুল ইসলামের ছেলে সামিউল ইসলাম (২২)।
মামলার বাদি জিয়াউল হক দেওয়ান জানান, স্থানীয় নগরহাট বাজারে তার সিমেন্টের দোকান আছে। পাশাপাশি ইট বালু সাপ্লাইয়ের ব্যবসাও করেন। রাজারামপুর গ্রামের শাহিনুর রহমান নামে এক ব্যক্তি ১ ট্রাক বালু নিতে চাইলে গত ৮ মে বেলা ১২টার দিকে ট্রাকযোগে বালু পৌছে দেন। এসময় পায়েল ও তার সহযোগীরা এসে ট্রাক আটকে দেয় এবং বলে এলাকায় বালু ঢুকলে ট্রাক প্রতি ১ হাজার টাকা করে দিতে হবে। না দিলে বালু ঢুকবে না বলে হুমকি দেয় এবং টাকা না দেয়া পর্যন্ত ট্রাক আটকে রাখে। পরে স্থানীয় লোকজন এসে ট্রাক ছাড়িয়ে নেয়। সন্ধ্যার দিকে বাড়ি ফেরার পথে পায়েল ও তার সহযোগীরা এসে পথরোধ করে চাঁদার টাকা দাবী করে। দিতে রাজী না হলে তারা তাকে এলোপাথারি মারপিট করে এবং তার কাছে থাকা ২৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এঘটনায় তিনি থানায় মামলা দায়ের করেন।
মশিউর রহমান বাবু নামে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানান, আব্দুল্লাহ বিন পায়েলের নেতৃত্বে এলাকায় কিশোর গ্যাং গড়ে উঠেছে। এমন কোন অপরাধমূলক কর্মকান্ড নেই যা তারা করে না। রাস্তাঘাটে স্কুল কলেজের ছাত্রীদের ইভটিজিং করে। পায়েলের বাবা আওয়ামী লীগ নেতা হওয়ার দাপটে এলাকায় প্রকাশ্যে ছেলেকে নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে বেড়ায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম জানান, বাবা ও ছেলের দাপটে এবং কিশোর গ্যাংয়ের ভয়ে এলাকায় কেউ কথা বলতে সাহস পায় না। এলাকায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে এই গ্রুপটাকে প্রতিহত করতে হবে।
শাজাহানপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তারকৃতদেরকে আদালতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। শাজাহানপুরে কোন চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী থাকবে না। অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।