শেরপুর বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের গোড়তা গ্রামে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের চাষ করা জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা যায়, গোড়তা গ্রামের নাদু সিংয়ের চাষ করা খাসজমি দখলের চেষ্টা করেন স্থানীয় জোতদারেরা। এ জন্য গতকাল সোমবার সকাল ৬টা থেকেই তাঁরা জমিতে জোর করে ধানের চারা রোপণ করতে থাকেন। এ সময় দুই শতাধিক নারী-পুরুষ জমিটি ঘিরে রাখে। তাঁদের অনেকেই দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত ছিল বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোকেরা।
নাদু সিং তাঁর সম্প্রদায়ের লোকজন নিয়ে বাধা দিতে গেলে দখলদারেরা তাঁদের ধাওয়া করে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
নাদু শিং বলেন, ‘গতকাল ভোর থেকেই আমার চাষ করা ছয় বিঘা জমিতে মজিবর রহমান ও আজগর আলী অন্তত ২০০ লোক এনে জমি অবৈধভাবে দখল করতে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ আসার আগে সকাল ৮টার মধ্যেই তিন বিঘা জমি দখল হয়ে যায়। বাকি তিন বিঘা জমিতে পুলিশের উপস্থিতিতেই ধানের চারা লাগানো হয়েছে।’
তবে জমি দখলের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন আজগর আলী। তিনি বলেন, ‘আমি কারও জন্য দখল করতে যাইনি। ২০১০ সালে এই জমিটা আমি কিনেছি। কিন্তু ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোকেরা সেটা দখল করে রেখেছিল। তাই আমি এলাকার লোকজন নিয়ে সেই জমিতে ধানের চারা রোপণ করেছি।’
এ নিয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা বলেন, খবর পাওয়ার পরেই গতকাল সকালে গোড়তা গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যতক্ষণ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হবে ততক্ষণ পুলিশ ওই গ্রামে অবস্থান নেবে।
এ প্রসঙ্গে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা সুলতানা বলেন, ওই গ্রামে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের সঙ্গে এই জমির ঘটনায় উত্তেজনার খবরে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে তিনি উভয় পক্ষকে অনুরোধ করেছেন। জমিজমা নিয়ে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সঙ্গে স্থানীয় জোতদারদের এই বিরোধ দ্রুতই নিষ্পত্তির করা হবে বলে তিনি জানান।