দৈনিক প্রাণের শহর বিডি ডেস্ক:
বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার আজ মহানবমী। মহানবমীর এই দিনেই আনন্দের মাঝে বাজতে শুরু করবে বিসর্জনের বিষাদের সুর। হিন্দু ধর্মমতে, দেবীদুর্গা আর একদিন পরেই কৈলাসে ফিরে যাবেন। পেছনে ফেলে যাবেন ভক্তদের চার দিনের আনন্দ-উল্লাস আর বিসর্জনের অশ্রু।
পাঁচদিনের এ উৎসবের তৃতীয় দিন সোমবার মহাষ্টমীতে মণ্ডপে মণ্ডপে ছিল পুণ্যার্থীদের উপচেপড়া ভিড়। হাজার হাজার ভক্ত-পূজারি ও দর্শনার্থীর উপস্থিতিতে উৎসবমুখর পরিবেশে মহাষ্টমীর পূজা উদযাপিত হয়।
করোনা পরিস্থিতির কারণে গত দুই বছর মহাষ্টমীর অন্যতম আকর্ষণ কুমারী পূজার আয়োজন করা হয়নি। তবে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় এবার কুমারী পূজার আয়োজন করা হয়। ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে কুমারী পূজার আয়োজন না থাকলেও রাজধানীর গোপীবাগের রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ পূজামণ্ডপে কুমারী পূজার আয়োজন করা হয়।
এদিন সেখানে ছয় বছরের দেবদূতা চক্রবর্তী কুমারী দেবীরূপে মহাষ্টমীতে পূজিত হয়। ভোরে স্নান করিয়ে দেবদূতাকে নতুন কাপড় পরানো হয়। এরপর দেবীরূপে সাজিয়ে তার কপালে দেওয়া হয় সিঁদুর, পায়ে আলতা ও হাতে ফুল। শেষে সুসজ্জিত আসনে বসিয়ে ষোড়শোপচারে (ষোলো উপাদান) দেবীজ্ঞানে পূজা করা হয়।।