এম.এ রাশেদ
বগুড়ার আদমদীঘিতে বিয়ের মাত্র ৫ মসের মাথায় প্রিয়াসা (২৩) নামের এক গৃহবধু গলায় ওড়নার ফাঁস লাগানো অবস্থায় লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত ১ অক্টোবর শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আদমদীঘির ডহরপুর গ্রামে স্বামীগৃহে এ ঘটনা ঘটে। প্রিয়াসা আদমদীঘির ডহরপুর রোডের নাসরুল্লাহ ঐক্যের স্ত্রী এবং আদমদীঘি রহিম উদ্দীন ডিগ্রী কলেজের সহকারি অধ্যাপক আনোয়ারুল হক পল্টুর পুত্রবধু।
ঘটনার পর থেকে গৃহবধুর স্বামী গা ঢাকা দিয়েচে। নিহত প্রিয়াসার মা ইয়াছমিনের দাবী তার মেয়েকে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে।
জানা যায়, আদমদীঘি রহিম উদ্দীন ডিগ্রী কলেজের সহকারি অধ্যাপক আনোয়ারুল হক পল্টুর
ছেলে নাসরুল্লাহ ঐক্যের সাথে ৫ মাস পূর্বে নওগাঁর চাকলা বক্তারপুর গ্রামের জসিম উদ্দিনের
মেয়ে প্রিয়াসার প্রেম সম্পর্ক করে বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকে নানা কারনে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে
বনিবনা হচ্ছিল না। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে মনমালিন্য চলে আসছিল। গত শনিবার আবারো
পারিবারিক কলহের সুত্রধরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গৃহবধু প্রিয়াসা তার শয়ন ঘরে ফ্যানের সাথে
গলায় ওড়নার ফাঁস লাগানো মরদেহ উদ্ধার করে স্বামীর পরিারের লোকজন।
গৃহবধু চাচা স্বশুড় আনিছুল হক নান্টু জানায়, বিকেলে গৃহবধুকে তার স্বামী বেড়াতে নিয়ে না যাওয়ায়
আত্মহত্যা করেছে। প্রিয়াসার মা ইয়াছমিন জানান, পারিবারিক কলহের কারনে তার মেয়েকে
নির্যাতন করে হত্যা করে আত্মহত্যা করেছে বলে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। আদমদীঘি থানার
উপ-পরিদর্শক কাওছার আলী জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। মৃত্যুটি
রহস্যজনক হওয়ায় মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।