এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ
কতটুকু উদার কতটুটু শিক্ষা বান্ধব হলে এমনটা করা সম্ভব? বলছি ধুনট উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়ন এর শেহুলিয়াবাড়ি গ্রামের মোঃ রহমত উল্যার সন্তান প্রভাষক মোঃ আলী হাসান খোকনের কথা।
যখন শেহুলিয়াবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রকৃত অভিভাবক শূণ্যতায় ভুগছিল, ঠিক সেই সময় ম্যানেজিং কমিটির প্রত্যক্ষ ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হন প্রভাষক মোঃ আলী হাসান খোকন। তিনি সভাপতি নির্বাচিত হবার পর মানবতার এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
জানাযায়, জমি সংকটের কারনে শেহুলিয়াবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক ভবনের কাজটি প্রায় বন্ধ হতে যাচ্ছিল। বিষয়টি সভাপতির নজরে এলে তিনি সরকারের বৃহৎ স্বার্থের কথা বিবেচনা করে রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় বিদ্যালয়ের কল্যানে নিজ অর্থায়নে ৫ শতাংশ জমি ক্রয় করে প্রতিষ্ঠানটিতে বিনামূল্যে দান করেন, যা একটি মহৎ হৃদয়ের পরিচয়।
রবিবার (২২ জানুয়ারি) শেহুলিয়াবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা যায়, ভঙ্গুর দশা বিদ্যালয়টি এখন আধুনিক মানের বিদ্যালয় হিসেবে সমাদ্রিত। যেখানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারি সম্পদের অপব্যবহারের প্রশ্ন উঠলেও সভাপতি আলী হাসানের প্রতিষ্ঠানটিতে সরকারি সম্পদের যথাযথ ব্যবহার হয়েছে বলে প্রমান মেলে।
মোঃ আলী হাসান খোকন রায়গঞ্জ উপজেলা সদর ধানগড়া মহিলা ডিগ্রি কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন। পাশাপাশি তিনি আওয়ামী মতাদর্শের রাজনীতির সাথে জড়িত। প্রভাষক আলী হাসান খোকন বলেন, ভবিষ্যতে উক্ত প্রতিষ্ঠানের কল্যানে আমাকে এলাকাবাসী সহ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পাশে পাবেন। আমি উক্ত প্রতিষ্ঠানের সার্বিক সাফল্যে কাজ করে যাব।
এ প্রসঙ্গে পূর্বে দায়িত্ব প্রাপ্ত ধুনট উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার অরুণ কুমার দেবনাথ অকপটে স্বীকার করে বলেন, সভাপতি আলী হাসান খোকনের শিক্ষা বান্ধব নীতি ও উদার মানসিকতার ফলে বিদ্যালয়ে নতুন ভবনটি নির্মাণ করা সম্ভব হয়। তা না হলে বিল্ডিংটি জায়গা সংকটের কারনে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত যাবার উপক্রম হচ্ছিল। সভাপতির একান্ত ইচ্ছা ও সহযোগিতায় বিদ্যালয়ের ভবন ও খেলার মাঠটি সম্প্রসারণ করা সম্ভব হয়। যা সুশিক্ষা বিস্তারে সহায়ক ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের উপযুক্ত ব্যবহার হয়েছে বলে আমি মনে করি।
শেহলিয়াবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব মোঃ নুরুল আমীন বলেন, সভাপতি আলী হাসান সাহেব একজন দায়িত্বশীল অভিভাবক হিসেবে বিদ্যালয়টির সার্বিক বিষয় তদারকি করেন। আমি যতদিন হলো তাঁকে সভাপতি হিসেবে পেয়েছি, তিনি অত্যন্ত বিনয়ী ও রুচিসম্মত মানুষ। আধুনিক শেহলিয়াবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় তাঁর যথেষ্ট অবদান রয়েছে।