এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ
দেশের মঙ্গল ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনায় আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে বগুড়ার ধুনট পৌর এলাকায় তিন দিনব্যাপী আঞ্চলিক ইজতেমা শেষ হয়েছে। রোববার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় মোনাজাত শুরু হয়। আরবি ও বাংলায় ২২ মিনিট ধরে মোনাজাত পরিচালনা করেন ঢাকার কাকরাইল মসজিদের মুরব্বি মাওলানা আব্দুল মতিন।
এসময় মানুষ দুই হাত তুলে মহান আল্লাহর সন্তুটি লাভের আশায় আকুতি জানান। মুসল্লিদের ‘আমিন’ ‘আমিন’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে ইজতেমা ময়দানসহ আশপাশের এলাকা।
এরআগে শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) ফজরের নামাজ আদায়ের পর ইজতেমায় উদ্বোধনী বয়ান পেশ করেন বগুড়া মার্কাজ মাদরাসার মুহতামিম মুফতি মশিউর রহমান। তার আমবয়ানের মধ্যদিয়ে পূর্বভরণশাহী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠের সামনে শুরু হয় ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা।
বয়ান আর তালিমের মধ্যদিয়ে প্রায় সারাদিন চলে তাবলিগের কার্যক্রম। আলোচনার পাশাপাশি দোয়ায় অংশ নেন মুসল্লিরা। প্রতিদিন ফজর, জোহর, আসর ও মাগরিবের নামাজ শেষে ইবাদত বন্দেগিসহ ধর্মীয় বিষয়াদি নিয়ে ওলামায়ে কেরামরা কোরআন ও হাদিস থেকে বয়ান করেন। এই ইজতেমা থেকে তাবলিগ জামাতের মুসল্লিরা দেশব্যাপী দ্বীনি দাওয়াতের কাজে বের হবেন।
কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবকদের অংশগ্রহণে সুশৃঙ্খল ছিল এবারের আয়োজন।
ইজতেমা উপলক্ষে বসেছিল বিভিন্ন সামগ্রীর পসরা। মুসল্লিদের বিনামূল্যে দেওয়া হয় চিকিৎসাসেবা। ঢাকার কাকরাইল মসজিদের আলমী শুরার তত্ত্বাবধানে এ ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়।
ইজতেমা আয়োজক কমিটির শুরা সদস্য ধুনট পৌরসভার মেয়র এজিএম বাদশাহ বলেন, ঢাকার টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা সফল করার লক্ষ্যে এবং দ্বীনি দাওয়াতে তাবলিগের কাজের জন্য ১০টি চিল্লার জামাত তৈরি করা হয়েছে। তাবলিগ জামাতের মুসল্লিরা দেশের বিভিন্ন এলাকার মসজিদগুলোতে ঘুরে ধর্মপ্রাণ মানুষদের তাবলিগের কাজে আত্মনিয়োগ করবেন। দেশব্যাপী দাওয়াতের কাজ শেষ করে মুসল্লিরা টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমায় শরিক হবেন।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। এছাড়া সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করেছেন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজন।