এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ
বগুড়ায় দীর্ঘ ৮ বছর পর মারপিটের এক মামলায় ৩ জন আসামীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। ২০১৪ সালে বগুড়া সদরের নিশিন্দারা ইউনিয়নের বারপুর উত্তরপাড়া এলাকার মৃত গোলাম মোস্তফা টুকুর স্ত্রী শাহেরা বেওয়া বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। যা দীর্ঘদিন শুনানি শেষে গতকা মঙ্গলবার (১৫ ই নভেম্বর) রায় দেন বিজ্ঞ আদালত। বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এপিপি বম্কিম চন্দ্র বসাক এবং এ্যাডঃ আব্দুল মান্নাফ।
রায়ে, ৩ জন আসামীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করা হয়। সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, বারপুর উত্তরপাড়া (ধারাপাড়া) এলাকার মৃত আমজাদ হোসেন বুদার ছেলে ইমদাদুল হক রাজু (৪৮) কে দেড় বছর, একই এলাকার মৃত তাইজুল ইসলাম ঠান্ডুর পুত্রদ্বয় যথাক্রমে মোঃ শয়ন (৪০) কে ১ বছর এবং তাজিবুল ইসলাম সুয়াস (৩২) কে ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-০২ এর বিজ্ঞ বিচারক নিশকৃতি হাগিদক। এসময় আসামীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার রায়ে সন্তুষ্ট হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাদী পক্ষ। তারা জানান, একটু হলেও তারা ন্যায় বিচার পেয়েছেন।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১২ই মে সোমবারে আসামীরা বাদীর জায়গা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দখল করতে যায়। এসময় বাদীর পরিবারের সদস্যরা এগিয়ে আসলে আসামীরা বাদীর পুত্র সাহেদ, বাবু ও সুলতানকে রক্তাক্ত জখম করে। এতে তারা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়। এই ঘটনায় শাহেরা বেগম বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার তৎকালীন কর্মকর্তা সদর থানার এসআই গোলজার হোসেন মামলাটি তদন্ত করে ১৩ জনকে আসামী করে ২০১৪ সালের ২৭ নভেম্বর আদালতে চার্জশিট প্রেরণ করেন।
পরবর্তীতে দীর্ঘ ৮ বছর শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত এই রায় দেন। মামলার অপর আসামীদের খালাশ দেন। এব্যাপারে বাদীর পুত্র সাহেদ বলেন, “দেরীতে হলেও সত্যের জয় হয়েছে। আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি। আমাদের আর চাওয়ার কিছু নেই”। রায় ঘোষণার পরে আসামীদের বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।