এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ
বিগত কয়েক মাস আগে ঢাকা কামরাঙ্গীরচর থানা এলাকায় ১৩ থেকে ১৪ বছর বয়সের এক কিশোর ওই এলাকার একটি কাপড়ের দোকানে চাকরি করে আসছিলেন। রাতে নিজ বাসায় ফেরার পথে তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুধু হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি খুনিরা তাকে হত্যা করে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি নিয়ে যান দুর্বোক্তারা।
এদিকে কিশোরের খুনের রহস্য উদঘাটন করতে কামরাঙ্গাচর থানার পুলিশ মাঠে নামে। নিহত কিশোরের কাছে থাকা একটি Vivo মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে খুনিকে শনাক্ত করতে সাইবার প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশ। এরপর খুনি শনাক্ত করতে নিহতের মোবাইল ফোন ট্রাকিং করে পুলিশ নিশ্চিত হন নিহত কিশোরের মোবাইল ফোন ব্যবহার হচ্ছে বগুড়া জেলার ঐতিহাসিক মহাস্থানগড় এলাকায়। তখন মরাঙ্গীরচর থানার পুলিশ গত সোমবার (৭ই নভেম্বর) বিকালে চলে আসেন বগুড়া মহাস্থানগড়ে।
লোকেশন মোতাবেক জানতে পারেন মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করছেন রাশেদুল (২৫), নামের এক যুবক। রাশেদুল মহস্থানগর একটি খাবার হোটেলের কারিগর হিসেবে শ্রমিকের কাজ করেন। তার বাড়ী গাইবান্ধা জেলায় ৷ রাশেদুল প্রায় ১২বছর ধরে মহাস্থানগর বাসস্ট্যান্ড একটি খাবার হোটেলে শ্রমিকের কাজ করেন। ছেলে হিসেবেও সে অমায়িক। তার সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়েও ভালোই জানা গেছে। কিন্তু তাতে কি আইনের তীর যে তার দিকেই ধাপিত হচ্ছে। নিহত কিশোরের ফোনে তার সিম থেকেই কথা হয়েছে। তাকে আটক করতেই কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশ ২ দিন যাবৎ গোড়াপত্তন করে মহাস্থানগড়।
তারা বগুড়ার শিবগঞ্জ থানা পুলিশ কে অবগত করে তাদের সহযোগীতায় রাশেদুলকে আটক করতে চালায় অভিযান৷ এরপর শিবগঞ্জ থানা-পুলিশ ও কামরাঙ্গীরচর থানা হতে কালো রঙের একটি হাইস- গাড়ী নিয়ে আসা ফোর্স অভিযান চালিয়ে মহাস্থানগর জাদুঘর রোডের নেকসো বিদ্যুৎ অফিসের পূর্বপাশে একটি ভাড়া বাসা থেকে রাশেদুল কে আটক করেন পুলিশ। এসময় তার কাছে সেই সিম পাওয়া গেলেও কাঙ্ক্ষিত সেই খুন হওয়া মোবাইল ফোন পাওয়া যায়নি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাশেদুল জানায়, ফোনটি সে ক্রায় করেছিল এবং সেই ফোন তার কোন এক পরিচিত ব্যক্তির কাছে বিক্রি করেছে। কোথায় কে বা- কার কাছ থেকে কেনা হয়েছে মোবাইল ফোন হাতে হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে তাকে নিয়ে চম্পট দেয় পুলিশ। উদ্দেশ্য মোবাইল ফোন কোথায় থেকে ক্রয় করেছে এবং কোথায় বিক্রি করেছে।
আদৌও কি এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট আছে কি না এমন প্রশ্ন রাশেদের ওপর ছুড়ে সংবাদিকদের বিষয়টি খোলাসা করে অভিযানে আসা কামরাঙ্গরচর থানার উপ- পরিদর্শক এসআই জয়নাল আবেদীন বলেন, যেহেতু একটি খুন হয়েছে সেই খুন হওয়া ব্যক্তির ফোনে সে তার সিম ব্যবহার করে কথা বলেছে ঘটনার পিছনে তো ঘটনা আছেই। এটি সহজে বোঝা যাবে না অনেক সময়ের প্রয়োজন।
এদিকে হোটেল শ্রমিক রাশেদুল জানিয়েছেন, তিনি কোনোদিন ঢাকায় যাননি। পুরোনো ফোন কিনে যেনো খুনের মামলার আসামি হলেন। রাশেদুর ভাল ছেলে অনেকেই বলাবলি করলেও কোন সুপারিশ কাজে দিচ্ছে না।
সবাই দামি বা কমদামি পুরাতন ফোন কেনা থেকে বিরত থাকুন। বিশেষ শর্তকতার্থে সবাইকে সচেতন করার লক্ষ্যে পোস্ট করা হলো। এমন মোবাইল ফোন কিনে কেউ বিপদে না পড়তে অনুগ্রহ পূর্বক পোস্টটি সবাই শেয়ার করবেন।