এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ
বগুড়ার ধুনটে বিষের বোতল নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছে সোনিয়া খাতুন নামের এক প্রেমিকা। সে একই জেলার সোনাতলা উপজেলার পাকুল্যা ইউনিয়নের হুয়াকুয়া গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের মেয়ে। প্রেমিক ফরহাদ হোসেন ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ী ইউনিয়নের বড়বিলা গ্রামের বাচ্চু সেখের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৫ বছর ধরে কর্মের তাগিদে প্রবাস জীবন বেছে নেয় ফরহাদ হোসেন। প্রবাসে থাকা অবস্থায় সে গত ৭ মাস আগে অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যমে সোনিয়া খাতুনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। ফরহাদ হোসেন বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে ছেলের বাড়িতে বিষের বোতল নিয়ে এসে অনশন করে সোনিয়া।
প্রেমিকা সোনিয়া জানায়, ফরহাদের সাথে ৭ মাসের সম্পর্কের এক পর্যায়ে অনলাইন মধ্যে বিয়ে সিদ্ধান্ত নেয় প্রেমিক প্রেমিকা। এবিষয়ে উভয় পক্ষের পরিবারের সাথে কথা চলছিলো। ফরহাদের দুলা ভাইয়ের সাথে পাকা কথা হওয়ার সময় ফরহাদের পরিবার বলেছিল মোবাইলে আমরা পছন্দ করিনা। সে বিদেশ থেকে ফিরে আসুক তখন পারিবারিক ভাবে একটা ব্যবস্থা নেয়া হবে। আশ্বাসের কারনে নতুন করে আর কোন পাত্র পছন্দ করেনি। বরং এলাকার লোকজন জানতে পেরেছে তাদের বিয়ে ঠিক করা হয়েছে। ফরহাদ অনলাইনে ব্লক করার কারনে সোনিয়া তার সাথে কিছুদিন যোগাযোগ করতে পারেনি। পরে ফরহাদের প্রবাসী বন্ধুর মাধ্যমে অনলাইনে যোগাযোগ করে ফরহাদের কাছে ব্লক করার কারন জানতে চায় সোনিয়া। পরে ফরহাদ সাফ জানিয়ে দেয় আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারবোনা। সোনিয়ার ভাষ্যমতে ফরহাদ সোনিয়াকে আরো জানায়, আগে থেকেই কোন এক মেয়ের সাথে ফরহাদের সম্পর্ক ছিলো। মেয়েটির বিয়ে হওয়ায় নতুন করে সোনিয়ার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। কিন্তু ওই মেয়েটি স্বামীর সংসার না করে ফরহাদ কে বিয়ে করতে চায়। সেজন্য তোমাকে আমি আর বিয়ে করতে পারবোনা। প্রেমিকের অনুমতি নিয়েই বিয়ের দাবিতে এসেছে বলে দাবি করছে সোনিয়া খাতুন।
গোসাইবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদুল হক বাচ্চু জানান, আমি বগুড়া জেলা শহরে থাকার কারনে ঘটনাস্থলে যেতে পারিনি। আমি খবর পেয়েছি ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।