এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ
বগুড়ার আদমদীঘিতে পরকীয়া ও পরিবারিক কলহের জেরে রেমি আক্তার (২০) নামের এক গৃহবধু বিষপানে আত্মহত্যা করেছে। গত মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) দিবাগত ভোর ৫ টায় আদমদীঘির অর্জুনগাড়ী শ্বশুর বাড়িতে তিনি মারা যায়। রেমি আক্তার ওই গ্রামের সৌদি প্রবাসী রুবেলের স্ত্রী ও এক সন্তানের জননী। গৃহবধু রেমি আক্তার কি পরকীয়ায় বলি হয়েছে? এনিয়ে গ্রামে চলছে নানা গুঞ্জন। গতকাল বুধবার দুপুরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।
পুলিশ ও গ্রামবাসী জানায়, আদমদীঘির নসরৎপুর ইউনিয়নের অর্জুনগাড়ী গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে রুবেলের সাথে ৬ বছর আগে দুপচাঁচিয়া উপজেলার ডাকাহার গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা তয়েজ উদ্দিনের মেয়ে রেমি আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের একটি রোহানা নামের ৪ বছরের একটি মেয়ে সন্তার রয়েছে। রেমি আক্তারের স্বামী ৩ মাস আগে সৌদি প্রবাসে যান। সম্প্রতি একই গ্রামের রাকিবুল নামের নামের এক ব্যক্তি রেমি আক্তারকে উত্ত্যক্ত ও পরকীয়া করার চেষ্টা করে।
এ নিয়ে গ্রামে বৈঠক হয়। পরকীয়া নিয়ে পারিবারিক কলহের কারনে গত মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় গৃহবধু রেমি আক্তার বিষাক্ত গ্যাস বড়ি সেবন করে। বিষয়টি টের পেয়ে শ্বশুড় বাড়ির লোকজন অসুস্থ্য রেমি আক্তারকে প্রথমে আদমদীঘি ও পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকাল কলেজ হাসপাতালে নেয়। বগুড়ার মেডিকালে তার অবস্থার অবনিত ঘটলে শ্বশুড় বাড়ির লোকজন রাতেই অসুস্থ্য রেমি আক্তারকে অর্জুনগাড়ী বাড়িতে নিয়ে আসার পর রাত ৫টায় সে মারা যায়।
এঘটনার পর থেকে কথিত উত্ত্যক্তকারি রাকিবুল গা-ঢাকা দেয়।
আদমদীঘি থানার তদন্তকারি উপ পরিদর্শক আলমগীর হোসেন বলেন, মৃত্যু ঘটনাটির কারন জানাযায়নি। মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্ত রির্পোট পাওয়া গেলে প্রকৃত রহস্য জানা যাবে।