এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ
সারাদেশে বিএনপির নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসের প্রতিবাদে বগুড়ার আদমদীঘিতে যুবলীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিলে ৪টি ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে দুইটি ককটেল বিষ্ফোরিত হলেও অপর দুটি অবিস্ফোরিত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত বুধবার ২৩ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে আদমদীঘির পুরাতন সোনালী ব্যাংকের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে। ককটেল বিস্ফোরনে ছাত্রলীগ নেতা মশিউর রহমান পলাশ, মৃদুল, রিফাত, বাপ্পি ও রাসেল আহত হয়েছে। পরে উত্তেজিত কতিপয় ব্যক্তিরা বিএনপির অফিসে চড়াও হয়ে ভাংচুরের ঘটনা ঘটায়।
জানাযায়, সারাদেশে বিএনপির নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসের প্রতিবাদে গত বুধবার সন্ধ্যায় আদমদীঘি উপজেলা যুবলীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে দলীয় কার্যালয়ে ফেরার পথে পুরাতন সোনালী ব্যাংকের সামনে পৌঁছিলে পিছন থেকে পর পর ৪টি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। এরমধ্যে দুটি ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটলে ছাত্রলীগের নেতা মশিউর রহমান পলাশ, মৃদুল, রিফাত, বাপ্পি ও রাসেল আহত হয়। আহতদের হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত দুটি ককটেল পুলিশ উদ্ধার করে। ককটেল বিস্ফোরনের পর কতিপয় ব্যক্তি বিএনপির অফিসে চড়াও হয়ে আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এ ঘটনায় তাৎক্ষনিক আদমদীঘি দলীয় কার্যালয়ের সামনে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আ’লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খান রাজু, উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি আবু রেজা খান, নাজিমুল হুদা খন্দকার, উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান, উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমিনুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা মাসুদ, ছাত্রলীগ নেতা আরেফিন খান তনু প্রমূখ। এদিকে ঘটনার পরপর আদমদীঘি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খান রাজু এসে উত্তেজিত নেতাকর্মিদের নিবৃত করে ককটেল হামলাকারিদের আইনের আওতায় নেয়া হবে বলে জানান। তিনি জানান এই ককটেল হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ২৪ নভেম্বর বিকেলে প্রতিবাদ সভা আহবান করা হয়েছে।
আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম বলেন, এ ঘটনায় অবিস্ফেরিত ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার পরপর অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধিন রয়েছে।