এম,এ রাশেদ
তথ্য-পরিসংখ্যান বলছে, বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশে বজ্রপাতের হার ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বজ্রপাত নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে ভালো ভূমিকা পালন করতে পারে তালগাছ।
সেই ভাবনা থেকেই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, বজ্রপাত প্রতিরোধ এবং রাস্তার সৌন্দর্য বর্ধনে ধুনট উপজেলার চৌকিবাড়ি ইউনিয়নের গ্রামীন রাস্তার দুই ধারে তাল বীজ রোপণ কর্মসূচি পালন করেছে বিষ্ণপুর জাগরণ ক্লাব নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
শনিবার (২৪শে সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে টার দিকে উপজেলার ধুনট- মথুরাপুর রোড়ের বিষ্ণপুর গ্রামের ভিতর হয়ে রুদ্রবাড়িয়া ব্রিজ ও বিষ্ণপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হতে নছরতপুর সড়কের দু’পাশে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিষ্ণপুর জাগরণ ক্লাবের উপদেষ্টা ৭নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য আবু সাঈদ শেখ, মোজাম্মেল হোসেন মাস্টার,আব্দুস ছালাম, নজরুল ইসলাম,রনি শেখ,শ্রী সাধন চন্দ্র, বাবু আক্তার, শাহীন আলম।
বিষ্ণপুর জাগরণ ক্লাবের পরিচালনা পর্ষদের অন্যতম সদস্য,কাওসার আলম,জুয়েল রানা,বিষ্ণপুর জাগরণ ক্লাবের সভাপতি সুমন হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,আব্দুর রহমান,সাংগঠনিক সম্পাদক, মাসুম রানা আলহাজ্ব,
ক্রীড়া সম্পাদক,আব্দুর রউফ,আকাশ, প্রচার সম্পাদক ফাহিম আহমেদ, মহির হোসেন ও সংগঠনটির সদস্য সাদিকুল ইসলাম,প্রদীপ কুমার,দুর্জয় কুমার প্রমুখ।
সংগঠনটির জানান, ‘তাল গাছের বীজ লাগানোর প্রধান উদ্দেশ্য হলো বজ্রপাত থেকে গ্রামের কৃষকদের বাঁচানো এবং একই সাথে পরিবেশ রক্ষা করা। বর্তমান বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বাড়ছে, যাকে বজ্রপাতের প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বজ্রপাত সাধারণত উঁচু জায়গায় ঘটে। তাই স্থানীয় প্রযুক্তি হিসেবে তাল গাছকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়। তাল গাছ তাপমাত্রা কমিয়ে বাতাসকে শীতল রাখতে সহায়তা করে। তাছাড়া তাল গাছ গ্রামের মানুষদের ছায়া, ফল, জ্বালানি ইত্যাদির চাহিদা মেটায়। তাই আমরা সতর্কতার অংশ হিসেবে তাল বীজ রোপণ করছি। প্রতি বছর আমাদের এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।’
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৯ই আগস্ট বিষ্ণপুর জাগরণ ক্লাবের পথচলা শুরু। প্রতিষ্ঠালগ্নের শুরু থেকেই সংগঠনটি একের পর এক সামাজিক ও মানবিক কর্মকাণ্ড পালন করে এলাকার সাধারণ মানুষের ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।