এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ
বগুড়া সদরের লাহিড়ীপাড়া ইউনিয়নের রংপুর-বগুড়া মহাসড়কের দিঘলকান্দি পশ্চিম পাড়া করতোয়া নদী সংলগ্ন পরিত্যক্ত অবস্থায় প্রায় দুই মণ ওজনের একটি কষ্টিপাথরের মূর্তি উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার বেলা ৩ টার সময় দিঘলকান্দী পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৎস্য ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিন বুলু,ভ্যান চালক খোরশেদ আলম কুকরু, শাহিন মিয়া, উল্লেখিত স্থানে পরিত্যাক্ত অবস্থায় চটের বস্তার ভিতর একটি মূর্তি পায় এবং ভ্যান যোগে নিজের হেফাজতে বাড়িতে রাখেন এবং তাৎক্ষনিক বিষয়টি লাহিড়ীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার আবু নাসের ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আপেল মাহমুদকে মোবাইল ফোনে অবহিত করেন।
চেয়ারম্যান তাৎক্ষনিক গ্রাম পুলিশকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে মূর্তিটি তাদের হেফাজতে নেন এবং পরবর্তীতে তিনি ইউনিয়ন বিট অফিসার সদর থানার এস আই আব্দুল মালেককে অবহিত করলে তিনি ৯৯৯ এ কল করলে এস আই ব্রজেন চন্দ্র, শহিদুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আপেল মাহমুদ, ইউপি সদস্য আল আমিন,
প্রত্নতন্ত্র বিভাগ মহাস্থান যাদুঘরের কাষ্টডিয়ান রাজিয়া সুলতানা সহ স্থানীয় সাংবাদিক,গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে প্রশাসনকে হস্তান্তর করা হয়। প্রায় কোটি টাকা মূল্যের মূর্তি পেয়েও সততার দৃষ্টান্তের পরিচয় দিলেন মৎস্য ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিন বুলু(৯০) শাহিন মিয়া(৩৫) ভ্যান চালক খোরশেদ আলম কুকরু(৩২)।
বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। এমন সুন্দর সততার দৃষ্টান্ত স্থাপন করায় ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আপেল মাহমুদ তাদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সেই সাথে তিনি আগামী ২/৩ দিনের মধ্যই তার পরিষদের পক্ষ থেকে ৩জন কে পুরুষ্কিত করবেন বলেও ঘোষনা দেন।
এব্যাপারে এলাকার হাজারো জনতার দাবী যারা দিনে দুপুরে কোটি টাকা মূল্যর মূর্তি পেয়েও গরীব ও অসহায় ৩ জন মানুষ কোন লোভ,লালসা না করে যে সততার স্বাক্ষর রাখলেন তাদেরকে যেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার তথা প্রত্নতন্ত্র বিভাগ থেকে যেন অচিরেই পুরুষ্কৃত করা হয় তাহলে তাদের উপকৃত হবে। এব্যাপারে মাননীয় সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন।