এম,এ রাশেদ,স্টাফ রিপোর্টারঃ
বগুড়া শাজাহানপুরে মানিকদীপা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে চাকুরীবিধি লংঘন, অসদাচরণ ও শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট করার প্রমান পেয়েছে তদন্ত কমিটি। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
ঘটনার বিবরনে জানাযায়, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল আজিজকে সাময়িক বরখাস্ত করে এডহক কমিটি। বিষয়টি স্বেচ্ছাচারিতা, অনৈতিক ও বিধিবহির্ভূত উল্লেখ করে প্রতিকার চেয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে আবেদন করেন আবদুল আজিজ। এলক্ষ্যে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহবুবুল হোসেনকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হলে তিনি তদন্ত পুর্বক প্রতিবেদন দাখিল করেন।
তদন্ত প্রতিবেদনেে ঐ সাময়িক বরখাস্ত সম্পুর্ন অবৈধ, নিয়মবহির্ভূত ও সেচ্ছাচারিতা উল্লেখ করে প্রধান শিক্ষক আবদুল আজিজকে স্বপদে বহাল রাখার সুপারিশ করা হয় এবং তা কার্যকরের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবরে প্রেরন করেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ হযরত আলী।
একইসাথে ঐ প্রতিবেদনে এর পিছনে ইন্ধনদাতা, মদদ দাতা, অসদাচারন, চাকুরীবিধি লংঘন ও শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্টের জন্য দায়ী করা হয় ওই বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধাম শিক্ষক শফিকুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে।
তবে এবিষয়ে কোন কথা বলতে রাজী হননি তিনি। এদিকে বিদ্যালয়টির সাবেক সভাপতি মোহসীন আলী, রনজু মিয়া, ইনসান আলী সহ স্থানীয় জনপ্রতিধিরা বলেন, সহকারী প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম প্রধান শিক্ষকের পদ নিতে কয়েকজন সহকারী শিক্ষককে সাথে নিয়ে বর্তমান সভাপতিকে হাত করে বিধিবহির্ভূতভাবে সাময়িক বরখাস্ত করে। কিন্তু তদন্তে এ অন্যায় ও সঠিক তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
এ ধরনের কূটকৌশল ও শিক্ষায় পরিবেশ বিনষ্টের কারনে শফিকুলকে বরখাস্ত সহ প্রয়োজনীয় আইনগতঃ ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।